কলেজ ছাত্রী ও শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার ২
২৭ জানুয়ারি ২০২০ ০০:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই কলেজ ছাত্রী ও দুই শিশুসহ চার জনকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক বৃদ্ধসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার নাঈমুর রহমান (২৮) ও মো. শাহ আলমের (৬০) বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাঈমুরের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া গ্রামে। বাসা নগরীর পাহাড়তলী থানার মৌসুমি আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে হাসান ভিলায়। অন্যদিকে, শাহ আলমের স্থায়ী বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে। বাসা চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায়।
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সিনহা সারাবাংলাকে জানান, নাীমুর বখাটে প্রকৃতির। রোববার সকালে নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড় থেকে সে হালিশহরে যাবার জন্য টেম্পুতে ওঠে। একই গাড়িতে হালিশহর জি-ব্লকের ক্যামব্রিয়ান কলেজের এক ছাত্রীও ছিলেন। সুযোগ বুঝে নাঈমুর ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়। এসময় ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে অন্যান্য যাত্রীরা তাকে ধরে কলেজে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
‘কলেজে নাঈমুরকে নেওয়ার পর আরও এক ছাত্রী গত বছরের ২৬ নভেম্বর তাকেও টেম্পুতে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। নাঈমুরের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে,’— বলেন সঞ্জয়।
শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় জানান, শাহ আলম পেশায় দুধ বিক্রেতা। হালিশহরের বি-ব্লকে একটি বাসায় রোববার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গিয়ে ৮ বছর ও ৬ বছর বয়সী দুই শিশুকে নিপীড়ন করে এই বৃদ্ধ। দুই শিশু খেলছিল। তাদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে থানায় অভিযোগের পর শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্ত্যক্তের শিকার এক শিশুর অভিভাবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিনহা।
২ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি গ্রেফতার দুই যৌন হয়রানি শিশুকে যৌন হয়রানি