প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, বিপিজেএ’র সঙ্গে ইশরাকের মতবিনিময়
২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৩৮
ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মতবিনিময় সভা শুরু করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে যান ডিআরইউতে। সেখানে মতবিনিময় সভা শেষ করে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে যান ইশরাক হোসেন।
মতবিনিময়কালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাব একটি সার্বজনিন জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের আগমনে আবারও সেটা প্রমাণ হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নিরাপদ ঢাকা শহর চাই, বাসযোগ্য ঢাকা শহর চাই। এই ঢাকা শহরকে সুন্দরভাবে সাজানোর অঙ্গীকার নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের যে চার জন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সবার শিক্ষা, দীক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্যে রয়েছে। সাংবাদিক সমাজ তাদের সবার জন্য শুভকামনা করে। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর হয়ে সাংবাদিক সমাজ কাজ করে না। তবে সাংবাদিক সমাজ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের পাশে থাকে।’
সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আজ আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসেছেন। তাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আগামীকাল উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, পরের দিন দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস আসতে চেয়েছেন। তাদেরও আমরা স্বাগত জানাব। আশা করি, ঢাকা উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও সময় করে আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে আসবেন। আমরা তাকেও স্বাগত জানাব।’
সাংবাদিক নেতা শ্যামল দত্ত বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকাকে সবাই পছন্দ করতেন। তার সন্তান হিসেবে ইশরাক হোসনকেও সবাই পছন্দ করে। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা সবাই তার জন্য শুভকামনা করছি।’
সাংবাদিক নেতাদের বক্তব্য শেষে ইশরাক হোসেন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক নেতাদের কাছে দোয়া নিতে আসছি। গত ১৮ দিনের প্রচারণায় আমার সঙ্গে থেকে মিডিয়ার ভাইয়েরা নিরলস পরিশ্রম করে কাভারেজ দিয়েছে, সে জন্য আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি।’
ঢাকা শহরের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এখন ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য নগরী হিসেবে পরিচিত হয়েছে। বায়ু দূষণের দিক থেকেও আমরা এক নম্বরে এসেছি। পৃথিবীর সব চেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবেও ঢাকা শহর এক নম্বরে। একজন সাবেক মেয়রের ছেলে হিসেবে এই সমস্যাগুলোর কথা আমার জানা আছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকাবাসী আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করলে এসব সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা থাকবে।’
গতকালের হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গত ১৮ দিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গতকাল ৪১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তিনজন সাংবাদিকসহ আমাদের ১২জন নেতাকর্মী আহত হন।’
‘আমরা যে আশঙ্কাটা করেছিলাম। অবশেষে সেটিই ঘটেছে। এই হামলার ঘটনায় উল্টা আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামী করা হয়েছে ৫০জনকে। এরইমধ্যে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা-হামলার মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সময় দেখেছিলাম, সেটারই পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি’— বলেন ইশরাক হোসেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে মতবিনিময় শেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) যান ইশরাক হোসেন। সেখানে সংগঠনটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি মিডিয়ার কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মিডিয়ার সহায়তা চান ইশরাক।
ডিআরইউ’র সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে যান ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরাসহ অন্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খানসহ অন্যরা।