‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে রাজনীতির সুযোগ নেই’
২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০০
সংসদ ভবন থেকে: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে দেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় তারা এ দাবি করেন।
প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বেসংসদ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন, মো. আবু জাহির, নেছার আহমদ, মজাহারুল হক প্রধান, সেলিম আলতাফ জর্জ, আনোয়ারুল আজিম আনার, আহসানুল ইসলাম টিটু, বেগম জাকিয়া পারভীন খানম, বেগম ফেরদৌসী ইসলাম, মোজাফফর হোসেন ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বেগম নাজমা আখতার।
ডা. আফছারুল আমীন বলেন, শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন-অগ্রগতির বাতিঘর হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র ১০ বছরেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে উন্নয়নের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। সবদিক থেকে এবং সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে আবু জাহির বলেন, ‘বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা মানায় না। বিএনপি আমলে দুঃশাসনের কথা জনগণ কোনোদিন ভুলবে না। জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে, তারেক রহমানের নির্দেশ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যাসহ পুরো আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করতে চেয়েছিল। দেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা করে জজ-আইনজীবীসহ শত শত মানুষকে তারা হত্যা করেছে।
জাতীয় পার্টির নাজমা আখতার বলেন, মাদকের ছোবলে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংস হতে বসেছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এই মাদকচক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। শুধু মাদকসেবী নয়, মাদকের গডফাদার ও সিন্ডিকেটের হোতাদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও দুর্নীতি সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। শিশু ও নারী ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষায় কঠোর আইন করতে হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে হবে।
নেছার আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নয়, পাকিস্তানের চর হিসেবে খুনি-জিয়ারা কাজ করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেন বাংলাদেশ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য তাকে সপরিবারে হত্যা করে এ খুনি চক্র। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা এখনও নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের একটি লাইনও লিখতে হলে বঙ্গবন্ধুর নাম লিখতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একটি দেশকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকাশ্য স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী এখনও প্রকাশ্য রাজনীতি করে। খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে কাল্পনিক জন্মদিন পালন করে। কীভাবে তারা এতো অকৃতজ্ঞ হতে পারে?’
আহসানুল হক টিটু বলেন, ‘পাকিস্তানি প্রেমিক বিএনপি নেতারা সংসদে অনেক কথা বলেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকাতেই বেরিয়েছে বাংলাদেশ ওই দেশটি থেকে সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।’
আনোয়ারুল আজিম আনার বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন, বিএনপির কাছে শুধু দেশের মানুষ নয়, পশু-পাখিরাও নিরাপদ নয়। তাদেরকে আর কোনোদিন জনগণ ভোট দেবে না।’