Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জ্বরে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে চাচী-ভাতিজার মৃত্যুতে আতঙ্ক


২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:২৫

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করেই তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তারা দু’জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। যশলদিয়া পানি শোধনাগারে কিছু চীনা কর্মী কাজ করছেন বলে এই দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এই দু’জনের যেসব উপসর্গ ছিল, তা করোনাভাইরাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিজ্ঞাপন

যশলদিয়া গ্রামে মৃত দু’জনের মধ্যে একজন শামীমা বেগম (৩৪), আরেকজন তিন বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। শামীমা বেগম সম্পর্কে শিশু আব্দুর রহমানের চাচী ছিলেন। তাদের মধ্যে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শামীমা বেগম ও রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়।

আব্দুর রহমানের বাবা মীর সোহেলের চাচাত ভাই মীর শিবলী সাংবাদিকদের জানান, রোববার সকালে হঠাৎ করেই শামীমা জ্বরে আক্রান্ত হন। দ্রুত তার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপ দেখা দেয়। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে তিনি মারা যান। পরে আব্দুর রহমানও জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মারা যায়। তার শরীরেও বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপ দেখা গেছে।

শিবলী বলেন, আমরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দেখিয়েছিলাম। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা তো দূরের কথা, হাসপাতালে নেওয়ার কোনো সুযোগই পাইনি। গতকাল (রোববার) বিকেলে ভাবিকে (শামীমা) দাফন করি। আজ (সোমবার) দুপুরে ভাতিজাকে দাফন করলাম। তারা কোন রোগে মারা গেল, বুঝতে পারছি না। আজ প্রশাসনের লোকজন ও ডাক্তাররা এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তাররাও তেমন কিছু বলতে পারেননি।

শামীমা ও আব্দুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে লৌহজং উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুজ্জামান তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের কেউ কেউ এটা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে স্থানীয় ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছেন, মরদেহে যেসব লক্ষণ তারা দেখতে পেয়েছেন, তাতে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ওই বাড়ির পাশে যশলদিয়া পানি শোধনাগারে কিছু চীনা নাগরিক কাজ করেন। এছাড়াও পদ্মাসেতু প্রকল্পেও চীনারা কাজ করছেন। সে কারণে এমন আতঙ্ক ছড়াতে পারে।

বিজ্ঞাপন

একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকদের একটি দলও পাঠানো হয়েছিল ওই বাড়িতে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, মেডিকেল টিম যে তথ্য দিয়েছে, তাতে আমরা ধারণা করছি, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন। এলাকাতেও আমরা সচেতনকামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক চাচী-ভাতিজার মৃত্যু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হঠাৎ জ্বর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর