স্কুলছাত্রী সীমা ধর্ষণ ও হত্যা, ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:২০
ঢাকা: লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি রানী সীমাকে (১৩) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসাইন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এসএম শফিকুল ইসলাম ও মো. হাফিজুর রহমান। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম।
পরে আমিনুল ইসলাম জানান, এ মামলায় নিম্ন আদালত ১০ জনকে ফাঁস দেন, হাইকোর্ট ৮ জনের ফাঁসি বহাল রেখেছেন। বাকী দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মানিক হোসেন, সুমন, নুর আলম, নুর নবী, সাদ্দাম হোসেন, হিরন, রাশেদুল ইসলাম, চৌকিদার হেদায়েত উল্যা । যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন ও সোহেল ওরফে বাইট্টা সোহেল।
সীমা হত্যায় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। লক্ষ্মীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ।
জরিমানার টাকা সীমার পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর ১৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বসুদহিতা গ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথের বাড়িতে মুখোশ পরা ১৪-১৫ জন ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতেরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় লক্ষ্মণের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সীমাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন সীমার ভাই কৃষ্ণ লাল দেবনাথ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।