‘৬৪ জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে’
২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:১২
সংসদ ভবন থেকে: রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে দেশে ৪৪টি জেলায় রেলপথ রয়েছে। অবিশিষ্ট জেলায় রেলপথ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশন শুরু হয়।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, ‘সম্প্রতি কয়েকটি কারণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনবল সংকটের কারণে ট্র্যাক, কোচ, ব্রিজ ইত্যাদি রক্ষাণাবেক্ষণের অভাব, অবৈধ লেভেল ক্রসিং গেইট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত সড়কযান পারাপার, লাইনে বসানো রেল ভেঙে যাওয়া, লাইনচ্যুতি, অত্যাধিক বন্যার কারণে ট্রেন চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়া।
তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনা রোধের জন্য ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে ডিজিলাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আরও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহন হিসেবে ঢেলে সাজাতে এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য গড়ে তুলতে গত এক দশকে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, রেলওয়েতে লোকোমেটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের তীব্র সংকট ছিল। দীর্ঘ সময় রেলওয়েতে চাহিদা মোতাবেক লোকোমেটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ না করার ফলে ট্রেন পরিচালনা হুমকির সন্মুখীন হয়। গত এক দশকে দেশীয় ও বৈদেশিক অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় লোকোমেটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে বর্তমান সরকারের আমলে মোট ১৩৫টি নতুন ট্রেন চালু ও বিদ্যমান ৪০টি ট্রেনের সেবা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।