Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুন্সিগঞ্জে চাচী-ভাতিজার মৃত্যু: কারণ খুঁজছে ২ মেডিকেল টিম


২৮ জানুয়ারি ২০২০ ২০:০৮ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ২০:১৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে অনুসন্ধানে নেমেছে আলাদা দুইটি মেডিকেল টিম। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনিস্টিউট (আইইডিসিআর) ও মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই দুইটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ এই মেডিকেল টিমের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই দুই মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গতকাল (সোমবার) থেকেই আমাদের তিন সদস্যের একটি টিম কাজ করছে। এছাড়া রাতেই আইইডিসিআর থেকে তিন সদস্যের আরও একটি টিম এসেছে। তারাও ওই দু’জনের ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয়দের নিয়ে তারা কাজ করছেন।

বিজ্ঞাপন

সিভিল সার্জন জানান, আমরা যে নির্দেশনা পেয়েছি, তাতে মরদেহ থেকে কোনো স্যাম্পল সংগ্রহের নিয়ম নেই। ফলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মৃত দু’জনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের ছবিও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য ঢাকার দলকেও দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, অনেকে অনেক ধরনের আশঙ্কা করছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস বা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো ধরনের লক্ষণ আমরা এখনো পাইনি। আমাদের মনে হয় না তারা এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতেই মেডিকেল টিম দুইটি কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে, লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামে হঠাৎ তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মারা যান শামীমা আক্তার নামে এক নারী। পরে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একইভাবে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তিন বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। শামীমা সম্পর্কে শিশু আব্দুর রহমানের চাচী।

স্বজনরা বলছেন, শামীমা হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুত তার শরীরের আপমাত্রা বাড়তে থাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয়। একই ঘটনা ঘটে শিশু আব্দুর রহমানের ক্ষেত্রেও। ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের দুই সদস্যের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার লৌহজং উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, যশলদিয়া পানি শোধনাগারে কিছু চীনা নাগরিক কাজ করেন। এছাড়াও পদ্মাসেতু প্রকল্পেও চীনারা কাজ করছেন। সে কারণে দুই মৃত্যুর ঘটনায় করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে স্থানীয়দের মধ্যে।

চাচী-ভাতিজার মৃত্যু হঠাৎ জ্বর