সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল উত্থাপন, বেড়েছে সাজা
২৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৭
সংসদ ভবন থেকে: বিভিন্ন অপরাধের সাজা বাড়িয়ে ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০’ উত্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ খান খসরু বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন পরিচালিত হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দিলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে এই অপরাধের জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে এই অপরাধে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বিস্ফোরক ব্যবহার করে, অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরার শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। এই অপরাধে বর্তমান আইনের এক লাখ টাকা জরিমানার শাস্তি বাড়িয়ে তিন বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বেআইনিভাবে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা ও তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করে, তবে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ জরিমানা করা যাবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার ও নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিলটি প্রস্তত করা হয়েছে। আর সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিলটি বাংলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।