দুই দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথম ক্ষতির মুখে পড়ল মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে লাভজনক ও জনপ্রিয় ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সৃষ্ট সংকটে এ পরিস্থিতিতে পড়তে হলো।
উড়োজাহাজ শিল্পের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় এক বছরে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম ক্ষতির সম্মুখীন হল বোয়িং। জনপ্রিয় মডেল ম্যাক্স ৭৩৭ গ্রাউন্ডেড হওয়ার আগে ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের আয় হয়েছিলো ১ হাজার ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার।
২০১৮ সালের শেষ দিকে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় দুটি বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে প্রাণ হারান ৩৫০ জনের বেশি আরোহী। এর পরপরই মডেলটির যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে সন্দেহ করে গ্রাউন্ডেড করতে শুরু করে এয়ারলাইন্সগুলো। এর ফলে বড় সংকটে পড়ে বোয়িং। একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হতে থাকে। বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করতে গিয়ে ব্যয় বাড়ে বোয়িংয়ের। এবার বাৎসরিক হিসেবের খাতায় তারই প্রভাব পড়লো।
তবে শীঘ্রই উড়োজাহাজের নতুন একটি মডেল বাজারে ছেড়ে এ সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বোয়িং। চলতি সপ্তায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান বোয়িং ৭৭৭এক্স সফলভাবে টেস্ট ফ্লাই সম্পন্ন করে। এ মডেলের উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের ক্ষতি পোষাতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বোয়িং ৭৭৭এক্স এর ব্যাপারে এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বোয়িংয়ের।