Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রামীণ জনগণকে অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর


২৯ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৩৮

ঢাকা: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ জনগণকে অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একইসঙ্গে ‍উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের অর্থেই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) প্রথম দিন ‘ইনোভেটিভ ফাইন্যান্সিং ফর আ সেলফ-রিলায়েন্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনের বিডিএফ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) আয়োজনে এবারের সম্মেলনের প্রথম দিন চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেনর ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ।

সম্মেলনে ‘প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন’ শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। অধিবেশনে আলোচক ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, ইউএসএআইডি’র পরিচালক জন স্মিথ শারেন, বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম লিডার ইয়োতাকা ইউসিনো ও বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।

অধিবেশনে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে বিনিয়োগের বাধা দূর করতে দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারের মানসিকতা পরিবর্তনের পাশাপাশি সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রফতানি বহুমুখীকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর কাজের বাজারে ২২ লাখ মানুষ প্রবেশ করছে। এ প্রেক্ষাপটে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি। এক্ষেত্রে সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পায়নের জন্য নীতি সহায়তা, ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন ও দেশে বাণিজ্য বাড়াতে এবং সীমান্তের মাধ্যমে বাণিজ্য সরবরাহে বিভিন্ন সহায়তা দিতে হবে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তার অভাব দূর করা, প্রশাসনিক বাধা, দুর্নীতি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব দূর করতে হবে। রফতানি পণ্য, বাজার ও দক্ষতাও বহুমুখী করতে হবে।

ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশটি সমস্ত এলডিসি সমর্থন পাবে। আরও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার আঞ্চলিক বাণিজ্যকে জোরদার করার জন্য এফটিএতে সই করার সুযোগ চাইছে এবং অন্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। সরকার ২০২৭ সালের পরে উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় পণ্য ও বাজারে বৈচিত্র্য আনতে উৎসাহ  দিচ্ছে। পাদুকা, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, পাট এবং কৃষিভিত্তিক পণ্য রফতানিতে আয় বাড়াতে চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ ইনডেক্স উন্নয়নে কাজ চলছে। এরই মধ্যে বেশকিছু সংস্কারের পাশাপাশি ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বিডিএফ

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর