তুলা উৎপাদনে সহায়তা করবে তুরস্ক
৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:০০
তুলা উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে তুরস্ক। তুলার নতুন জাতসহ বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকায় সফররত তুরস্কের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। তুরস্কের তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মুস্তফা কোরাই সিমসেক বাংলাদেশের কৃষির প্রশংসা করে বলেন, ‘তুরস্ক তুলার বীজ হতে ভোজ্য তেলও উৎপাদন করে। এ পর্যন্ত তুরস্ক ১২টি জার্মপ্লাজম দিয়েছে। তারা বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে নতুন নতুন জাত সংগ্রহ ও আবাদের পরামর্শ দেন।‘
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুলা চাষে বাংলাদেশের প্রধান অন্তরায় ক্ষতিকারক পোকা। এই পোকা তুলা ফসল আক্রান্ত করে অন্যদিকে সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। ফলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং তুলার ফলন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। তুরস্কের উচ্চফলনশীল তুলা জাতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাত ক্রস করে নতুন জাত উদ্ভাবন করা যায় কিনা সে বিষয়েও তুরস্কের প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা চান তিনি। বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
যদিও বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প তুরস্কের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে খাটো জাতের অধিক ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের অপরিহার্য কাঁচামাল তুলা। চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। তবে অল্প কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও তুলা ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশ বছরে ৮০ লাখ বেল তুলা আমদানি করে, যার মূল্য প্রায় ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও তুলা চাষে তেমন সাফল্য নেই। এবার এদিকে নজর দিতে চায় সরকার।