উহানে বিপদে বিদেশি শিক্ষার্থীরা, দেশে ফেরার আকুতি
৩০ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০৯
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে রয়েছে ৩০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখানে বসবাস করছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় তারা এখন আটকা পড়েছেন ডরমেটরি । দ্রুত ফিরতে চান নিজ নিজ দেশে। খবর ভয়েস অব আমেরিকা ও আল-জাজিরার।
আনুমানিক ৫০০ পাকিস্তানি শিক্ষার্থী উহানে পড়াশোনা করছেন। তাদের মধ্যে চারজনের করোনাভাইরাস রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জা। তিনি জানিয়েছেন, বাকিরাও ভাইরাস আতঙ্কে আছেন।
উহান ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট’স ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামিউল আহসান। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি সবাই আতঙ্কিত! অন্যদের বুঝাতে চেষ্টা করছি, সবাই একই অবস্থায় আছি।
মোহাম্মদ সামিউল সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
ড্যানিয়েল পেকার (২১) নামের চেকপ্রজাতন্ত্রের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি উহান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সে জন্য কথা বলেছেন অ্যাম্বাসিতে।
তার পরিবার তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে আকুতি জানান পেকার।
প্রায় ৫ হাজার আফ্রিকান শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন চীনে। উহানে রয়েছেন সোমালিয়ার রেদওয়ান মোহাম্মদ নূর। তিনি বলেন, আমি সবসময় মাস্ক পরে থাকি। আমি জানালা খুলতেও ভয় পাই, যদি বাতাসে ভাইরাস চলে আসে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পড়ছেন ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থী ইলিয়ানোভা লেসতারি চানিয়াগো (২৬)। তিনি তার দেশের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
উহানে ১০২ জন ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে ৩টি বিমান প্রস্তুত রেখেছে সেদেশের বিমান বাহিনী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ জানান, ক্যান্টিনে অর্ডার করলে খাবার রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না।
চীনে বাংলাদেশের দূতাবাস উইচ্যাট গ্রুপ খুলেছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থা জানাতে পারেন। আবদুল্লাহ সেখানে অনুরোধ করেছেন যাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, কেনিয়া, উগান্ডা, ভারত, মিয়ানমার, কম্বোডিয়ার শিক্ষার্থীরাও নিজেদের দূতাবাসে জানিয়েছেন তারা দেশে ফিরতে চান।