ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা: বছরব্যাপী জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ। ‘জাগো তারুণ্য, রুখো জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ খিলক্ষেত এলাকায় কলেজটির অডিটোরিয়ামে ৫ম জঙ্গিবাদ বিরোধী সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস বলেন, আমি সব ধর্মের মানুষকে সম্মান করি। আমার বক্তব্যের মূল জায়গাটি হচ্ছে মানুষ। মানুষকে যে সম্মান করতে না পারে, ভালবাসতে পারে না, সে আসলে অমানুষ। মানুষকে হত্যা করে বেহেশত বা স্বর্গে যাবে এমন ভাবনার চেয়ে বোকামি আর কী হতে পারে!
তিনি বলেন, মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব, মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিব, এটাইতো মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানবতাবাদের চেয়ে বড় আর কী হতে পারে।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে দেশের জন্য আরও বেশি কাজ করি। যার যার জায়গা থেকে শতভাগ সততা, নিষ্ঠা নিয়ে দাঁড়াই। দেশ আরও এগিয়ে যাবে। কারো কথায় বিশ্বাসের দরকার নেই। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা গুগলে সার্চ দিলে নিজেরাই দেখতে পারবেন। উন্নয়নের প্রতিবন্ধক, এই জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করব আমরা সবাই মিলেই।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ বিপ্লব নারায়ণ চৌধরী। তিনি বলেন, আমরা ইতিহাস থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। নিজের শিকড় ভুলতে বসেছি। যার কারণে আমাদের মধ্যে পরিচয় সংকট দেখা দিচ্ছে। অথচ বাঙালি জাতি হিসেবে রয়েছে আমাদের দীর্ঘ দিনের ইতিহাস। ইতিহাস আর ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন হলেই বিপদ। সেই বিপদের দুর্ভোগই আমরা বহন করছি। কোনো দিনই আমরা জঙ্গিবাদের দিকে যাব না- যদি মৃত্তিকা সংলগ্ন হই।
অনুষ্ঠানে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের পরিচালক কানতারা খান বলেন, একাত্তরের সময় আর কোনো দল ছিল না। দ্বিধাবিভক্তি ছিল না। ছিল একটাই, বাঁচবার এবং বাঁচাবার দল। আর অল্প কিছু মানুষ ছিল বিপথগামী। তারা স্বাধীনতা চায়নি। তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারাই আজকের বাংলাদেশে বিভ্রান্তি আর বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, হলি আর্টিসানে যে নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে তাদের অনেকেই মেট্রোরেলের কাজে এই দেশে এসেছিলেন। কি ছিল তাদের অপরাধ। তারাতো ভিনদেশি। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। যারা তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা যে বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায় তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
সবশেষে সেমিনারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে জঙ্গিবাদ বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে মতামত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পর্বটি পরিচালনা করেন সুচিন্তার পক্ষে আশরাফুল আলম। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জব্বার হোসেন।
সারাবাংলা/এটি