Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃষ্টির মতো পড়ছে বোমা, মরছে মানুষ


২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:১৩

সারাবাংলা ডেস্ক

আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে বোমা। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে চারিদিক। ভেঙে পড়ছে বড় বড় দালানকোটা। চারিদিকে মানুষের হাহাকার। মরছে অসংখ্য মানুষ। বোমার আঘাতে কেউ পা হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছেন। কেউ বা হারিয়েছেন হাত। এসব আহত মানুষের উদ্ধার করার কেউ নেই।

এটি সিরিয়ার পূর্বঘৌটার এখনকার চিত্র।  গত পাঁচ দিনে বিমান থেকে ফেলা বোমা আর রকেটের আঘাতে ওই এলাকায় চারশ’রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে অন্তত দেড়শ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ২ হাজার একশ’ ২০ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। অাশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যের সংখ্যা আরো বাড়বে।

শুক্রবার আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি এ খবর প্রকাশ করেছে।

গত রোববার থেকে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘৌটায় হামলা শুরু করেছে দেশটির সরকারি বাহিনী। রাশিয়ার যুদ্ধ বিমানের সহযোগিতা নিয়ে আসাদ সরকারের বাহিনী এ হামলা চালাচ্ছে। বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে এ হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও হতাহতরা সবাই বেসামরিক নগরিক।

হামলার মধ্যে বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসে আবেগময় ভাষণ দেন। পূর্ব ঘৌটাকে ‘পৃথিবীর নরক’ আখ্যা দেন তিনি।

মহাসচিব বলেন, পূর্ব ঘৌটায় যে মানবিক বিপর্যয় চলছে তা চোখে দেখা যায় না। ভয়ানকভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।  কীভাবে নৃশংস এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব হচ্ছে আমি ভাবতে পারছি না। যতদ্রুত সম্ভব সেখানে মানবিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবারের ওই বৈঠকে পূর্ব ঘৌটায় ৩০ দিনের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করা হয়।  জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বেসামরিক মানুষকে বাঁচাতে রাশিয়া ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু কী উপায়ে তা করা যায় তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয় নিয়ে পরে বৈঠক করতে পারি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কী করা যায়।’ এভাবে হামলা অব্যাহত রাখতে সময়ক্ষেপণ করেন রুশ প্রতিনিধি।

২০১৩  সালের পর থেকে পূর্ব ঘৌটা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এই অঞ্চলটির দখল নিতে চায় সরকারি বাহিনী। এ জন্য চলতি মাসের শুরু থেকে তারা হমলা চালানো শুরু করে। তবে গত কয়েকদিনে তা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।

২০১১ সালের ১৫ মার্চ থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলন শুরু হলে, বিদ্রোহীদের ওপর চড়াও হয় বাশার আল আসাদ।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত  যুদ্ধে ৪ লাখ ৮১ হাজার ছয়শ’ ১২ জন নিহত হন। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার ৫৪ লাখ ৪০ হাজার সাতশ’ ৪৯ জন শরনার্থী  বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন।

সারাবাংলা/আইএ/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
২১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫২

ফটোসাংবাদিক শোয়েব মিথুন আর নেই
২১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৭

সম্পর্কিত খবর