ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেননি সিইসি-ও
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১৮
ঢাকা: উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বাকি সব কেন্দ্রের মতো এই কেন্দ্রেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ভোট। সিইসি উপস্থিত হওয়ার পর তাকেও ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম মেশিন সরবরাহ করা হয়। বিধি অনুযায়ী তাতে ভোট দেওয়ার জন্য আঙুলের ছাপ দিতে যান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তার আঙুলের ছাপ মেলেনি। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উত্তর সিটি ভোটার সিইসি’র সকাল ১০টায় যাওয়ার কথা ছিল ভোট দিতে। পরে অবশ্য তার নির্ধারিত আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রে পৌনে ১১টার দিকে ভোট দিতে যান তিনি।
ওই কেন্দ্রে কর্মরতরা জানান, সিইসি দ্বিতীয় তলার ৮ নম্বর রুমে ভোট দিতে যান। প্রথমে ইভিএম মেশিনে তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করানো হয়। সেটি তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে না মিললে তার বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করানো হয়। সেটিও তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মেলেনি। পরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে তার ভোটগ্রহণ করেন।
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সিদ্দিকা বুলবুল সারাবাংলাকে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দুই বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কোনো আঙুলের ছাপই ম্যাচিং করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
ভোট দেওয়া শেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি নুরুল হুদা। এসময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেরই ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছে না। তবে তাতে খুব বেশি সমস্য নেই। ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য আরও তিন-চারটি পদ্ধতি আছে। তারা সেভাবে ভোট দেবেন।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করার বিষয়ে সিইসি সারাবাংলাকে বলেন, ৮/৯ বছর আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছিলাম। এখন হাত ঘামে ভেজা থাকায় হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলেনি। আর বারবার চেষ্টা করতে গেলে সময় নষ্ট হতে পারে। সে কারণে আর সময়ক্ষেপণ না করে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।
পরে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান সিইসি কে এম নুরুল হুদা।