ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০৭
ঢাকা: বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সংঘর্ষ, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সমস্যা, আঙুলের ছাপ না মেলাসহ নানা আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই নির্বাচন একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ঢাকার দুই সিটির ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে নেওয়া হয় ভোট। ১৭২ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই বিশাল ভোটযজ্ঞ। এর মধ্যে দুই মেয়র ছাড়াও আছেন ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন রাজধানীর ভোটাররা। গণনা শেষে জানা যাবে কারা হচ্ছেন এই শহরের অভিভাবক।
সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। ভোটারদের হেঁটে বা রিকশায় ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে তারা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন। প্রত্যেকেই হাতে রেখেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন তারা।
রাজধানীর সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এর মধ্যেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। দুই একটি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের মারধর করা হয়। কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। কয়েক জায়গায় ভাঙচুরও করা হয়।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারে সমস্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলার সমস্যাও ধরা পড়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে রাজধানীতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। কেবল নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ইসির বিশেষ স্টিকারযুক্ত যানবাহনে চলাচল করতে পারছেন। এছাগা অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে শিথীলতা রয়েছে। বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই ১৭২জন প্রতিনিধি নির্বাচনের কর্মযজ্ঞকে সুষ্ঠু করতে দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪৬৮ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৪ হাজার ৪৩৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৮ হাজার ৮৬৮ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য থাকছেন। সবমিলিয়ে দুই সিটির ভোটে ভোটগ্রহণ কমর্কতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৫১ হাজার ৫০ জন।