Tuesday 03 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দুই সিটি নির্বাচনে মানুষের আস্থাহীনতার প্রতিফলন ঘটেছে’


১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৪৮ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: নির্বাচনের প্রতি মানুষের যে আস্থাহীনতা ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আর রাজনীতির প্রতি মানুষের অনাগ্রহের কারণেই ভোটার উপিস্থিতি কম ছিল বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান। নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায়, অনেকে নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বললেও কেউ বলছেন নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ারই অংশ। তবে নির্বাচিতদের কাছে সবার প্রত্যাশা বাসযোগ্য নগরী। কোনো একটি দলের না হয়ে নির্বাচিতরা সবার মেয়র হয়ে উঠবেন এমন প্রত্যাশা তাদের।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার ছিল না। এজেন্ট ছিল না। মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আগ্রহ ছিল না। ইভিএম যারা পরিচালনা করেছে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ছিল না। নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থাহীনতা, এটি তারই প্রমাণ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে রাষ্ট্র ভয়াবহতার দিকে যাবে, যা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।’


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যারা নির্বাচিত তাদের সকলকে অভিনন্দন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা তাদের মেনিফেস্টো বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। সব বাস্তবায়ন করা হয়তো সহজ হবে না, কিন্তু তা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তারা একটি দলের ছিলেন, কিন্তু মেয়র হবার পর তারা সবার, সকলের মেয়র। সবার জন্যে তাদের কাজ করতে হবে।’

এবার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম থাকার বিষয়টি শঙ্কার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনেও নির্বাচনি স্বাক্ষরতা বাড়াতে হবে। সবাই যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।’


ঢাকা বিশ্ববিদ্যয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। প্রযুক্তির যে ব্যবহার ঘটেছে তাতে তেমন কোনো বড় অভিযোগ শুনিনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে, এটার একটা কারণ হতে পারে রাজনীতির প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে তার প্রতিফলন।’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে ভয়ভীতি শঙ্কা এবার মাঠপর্যায়ে তা দেখা যায়নি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, ঢাকা শহরের যে সমস্যা তা তাদের দূর করতে হবে। সবার জন্যে বাসযোগ্য নগরী তৈরি করাই হবে তাদের প্রধান কাজ। আমরা বাসযোগ্য শহর চাই, যারা বিজয়ী হয়ে এসেছে তাদের অভিনন্দন।’

আস্থাহীনতা ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ভোটার উপস্থিতি কম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর