ভেতরে ফখরুল-ইশরাক, বাইরে পুলিশ
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:০৪
ঢাকা: চলছে বিএনপির ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। হরতালের প্রথম তিন ঘণ্টা অর্থাৎ সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদরেজাসহ মোট ১১/১৩ জন কর্মী সমর্থককে পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
তবে এই মুহূর্তে নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী। আর দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রয়েছেন যথারীতি ১০/১২ জন কর্মী সমর্থক। তারা কিছুক্ষণ পর পর হরতালের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন- ‘আজকের হরতাল সফল হোক। অবৈধ নির্বাচন মানি না, মানবো না। ছাত্রলীগের নির্বাচন মানি না, মানবো না। যুবলীগের নির্বাচন মানি না, মানবো না। নূরুল হুদার নির্বাচন মানি না, মানবো না। ভোট চুরির নির্বাচন মানি মানবো না।’
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার আগে ইশরাক হোসেন নিজেও কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বেশ কিছক্ষণ ধরে একই স্লোগান দেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি ছিল ইশরাকের নিজের দেওয়া স্লোগানে। পরে অবশ্য পুলিশ তাকে ফুটপাত ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশের অনুরোধ দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে চলে যান ঢাকা দক্ষিণে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট পাওয়া বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি যখন কার্যালয়ে ঢোকেন, তখন খুব বেশি নেতাকর্মী সেখানে ছিলেন না। মূলত, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কার্যালয়ে আসার পরই আশপাশে থাকা কর্মী সমর্থকেরা কার্যালয়ে আসতে শুরু করেন। সকাল ১১টার পর ইশরাক হোসেন দলীয় কার্যালয়ে আসার পর সেটি পূর্ণতা পায়।
দুপুর ১ টার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয়তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মহিলাদল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী। আর কনফারেন্স রুমের পাশেই মহাসচিবের কক্ষটি ভেতর থেকে আটকানো। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেতরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ইশরাক হোসেন অবস্থান করছেন। বিকেল চারটা নাগাদ তারা সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।
এদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের সংখ্যা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে থাকা কর্মী সমর্থকদের চেয়ে বেশিই মনে হলো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন বিএনপির কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে পুলিশের সংখ্যা। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কয়েক স্তরের ‘প্রাচীর’ তৈরি করে রেখেছেন পুলিশ সদস্যরা। রয়েছেন বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও।
তবে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রধান পিকেটিংস্থল হিসেবে বিবেচিত নয়াপল্টন সড়কে যানচলাচল ছিল একেবারই স্বাভাবিক। অন্য দিনগুলোর মতোই নয়াপল্টন সড়ক দিয়ে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরবাইক, রিকশা-ভ্যানসহ সাধারণ গণপরিবহন চলাচল করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে হরতাল নিয়ে বাড়তি কোনো আগ্রহ বা আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়নি।