Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সারাদেশের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষাই মুজিববর্ষের বড় কর্মসূচি’


২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৬

ঢাকা: মুজিবর্ষে যত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি সারাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ। এ লক্ষ্যে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ ও জলাধারসহ সবকিছু যেন সংরক্ষণ হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৩তম জাতীয় সম্মেলন ও এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি এ আহ্বান জানান। ‘স্কিল রেডিনেস ফর অ্যাচিভিং এসডিজিএস আইআর ৪ দশমিক শূন্য’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদন কর্মকাণ্ডে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাদের অনেক দাবি-দাওয়া রয়েছে; আমি জানি। আপনাদের ইনক্রিমেন্টসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়টি অনুমোদন করে দিলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আটকা পড়ে যায়। এই আটকা পড়ার বিষয়টা যদি আরও আগে আমার সামনে আনতেন তাহলে হয়তো ভালো হত। এটা শুনে সত্যেই আমার খারাপ লাগল। আমি একটা কথা দিলাম আর সেটা এখানও বাস্তবায়ন হয়নি। আপনাদেরও দোষ আছে। এটা সময় মতো উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে বাজেট প্রণয়ন যখন হয়, তার আগেই এ বিষয়টা সামনে আনা যেত। তখন এটা যেভাবেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যাই হোক, আমি এটা দেখব।’

ডিপ্লামা প্রকৌশলীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে চলতি বছর থেকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরের যে কর্মসূচি নিয়েছি, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি— সারাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ। ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ এবং জলাধারসহ সবকিছু যেন সংরক্ষণ হয়, সেই দিকটা আপনাদের একটু বিশেষভাবে দেখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপানারা জানেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এই ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্দেশ্যই হলো, আমাদের কৃষি জমি যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। আমাদের ছোট একটা ভূখণ্ড। এখানে আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী বসবাস করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে। জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। সেই গুচ্ছগ্রাম দিয়ে তার যাত্রা শুরু। তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আদর্শ গ্রাম, আশ্রয়ণ, গৃহায়ন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে ঘরবাড়ি দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহীন মানুষ অন্তত বসবাসের মতো ঘর পাবে। সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নে তার সরকারের মেয়াদে নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সারাদেশে ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এক সময় বাংলাদেশের নাম শুনলে অনেকেই মনে করত; বাংলাদেশ মানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, দরিদ্র্য দেশ, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আজকের বাংলাদেশ কিন্তু সেই বাংলাদেশ না। দশ বছরে বাংলাদেশের আমরা আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। এই দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।’

বর্তমানে দেশের জিডিপি হার তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, সেই লক্ষ্য পূরণ আমরা করতে চাই। আপনারা জানেন যে, একটা চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মাসেতু নিয়ে। আমি বলেছিলাম, আমরা নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করব। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। এই একটা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সারাবিশ্বে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে পারি। পারব না কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি।

বর্তমান সরকারের মেয়াদে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার কথা তুলে ধরে মুজিবর্ষে আরও এক থেকে দুই ভাগ কমানো যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কর্মসূচি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) পরিবেশ-প্রতিবেশ প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর