Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের পর শিশু হত্যা, গ্রেফতার ১


২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫২

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিনুল ইসলাম (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোমিনুল স্থানীয়দের কাছে বখাটে হিসেবে পরিচিত।

নিহত শিশুটির নাম ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ৭ বছরের শিশুটির বাবা কাঠ সংগ্রহ করে জীবন ধারন করেন। আর মা অন্যের জমিতে তুলা ও মরিচ তোলার কাজ করেন। সকালে প্রতিবন্ধী ভাইকে বাড়িতে রেখে শিশুটি যায় স্কুলে। প্রতিদিনের মত শনিবারও স্কুলে যায় শিশুটি। পরে দুপুরে ভাত খেতে বাড়িতে আসে। সেসময় মাকে বাড়িতে না পেয়ে সে খুঁজতে বের হয়। এরপর আর ফেরেনি।

নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হলে তার গ্রাম ও আশপাশের গ্রামে মাইকিং করা হয়। সন্ধ্যার আগে থেকেই ইউপি সদস্য খায়রুল বাসারের নেতৃত্বে ৮-৯টি দল গঠন করে গ্রামের বিভিন্ন স্থান ও মাঠে তাকে খুঁজতে নামেন স্থানীয়রা।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কাছে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের পাশে একটি শিম ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে ভিড় করে হাজারো মানুষ।

ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা। প্রাথমিক সুরতহালে বোঝা যায় যে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সেখান থেকে আলামত হিসেবে শ্যাম্পুর খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এরই সূত্র ধরে পুলিশ স্থানীয় এক মুদি দোকানির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের মোমিনুল ইসলামকে আটক করে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টর দিকে নিহত স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে সেই মামলায় মোমিনুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

ধর্ষণের পর হত্যা শিশু ধর্ষণ শ্বাসরোধ করে হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর