‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইভিএমেও ফলপ্রকাশে দেরি’
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:১০
ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ভোট নেওয়া হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফলপ্রকাশ করতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম।
তিনি বলেন, দুই সিটি নির্বচানে দ্রুত ফলপ্রকাশ ও স্বচ্ছতার জন্যই ইভিএম ও ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত ফল পেতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এত সময় লেগেছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবুল কাসেম।
উত্তর সিটির এই রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়েছে। সাড়ে ৫টা থেকে সর্বোচ্চ ৬টার মধ্যে ইভিএমের ফল কেন্দ্রে হয়ে গেছে। আমাদের এলাকা অনেক বড়, সেই সাতারকুল, বেরাইদ পর্যন্ত বিস্তৃত। ওইসব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ছিল অনেক ধীর গতির। এ কারণে আমাদের দেরি হয়েছে। ট্যাবের মাধ্যমে আমরা যে ফল নিয়েছি, ওই খানে নেটওয়ার্কে বা আমাদের কিছু যান্ত্রিক বা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ফল দিতে দেরি হয়েছে।
বিষয়টিও আরও ব্যাখ্যা করে আবুল কাসেম বলেন, ইভিএমের ফল ভোট নেওয়ার শেষ করার পর আধাঘণ্টার মধ্যেই হয়ে গেছে। কিন্তু ফল আসতে দেরি হয়েছে। পরে আমাদের কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়েছে। এগুলোর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে ঢাকার দুই সিটিতে। এরপর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে উত্তর সিটির নির্বাচনের ফলপ্রকাশের কথা ছিল। পরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উত্তর সিটি নির্বাচনের ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম দাবি করেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও যেকোনো কারণে নেটওয়ার্ক ছিল ধীর গতির।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যারা নির্বাচিত হয়েছেন, ফলের যে একীভূত বিবরণী, সেটা আজ (রোববার) নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবো। আমার মনে হয়, গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বেশি সময় লাগবে না। তবে এ সপ্তাহেই প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলেও দাবি করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।