ঢাকা: রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনি প্রচারণায় সংঘর্ষের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আরিফুল ইসলামের (৪৭) রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটিতে আসামি আরিফের রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন হরতালের কারণে আরিফকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেননি পুলিশ। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফ রিমান্ড শুনানির এ তারিখ ঠিক করেন।
ইশরাকের অস্ত্রধারী পিএসের রিমান্ড শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি
এরআগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হক আসামিকে আদালতে হাজির করে এ রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আজ রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের কথিত পিএস হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করাসহ নির্বাচনপূর্ব মিছিলে অংশগ্রহণ করে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ওয়ারী থানাধীন ৪৮/৩ এ আর কে মিশন রোড রোকন উদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী নির্বাচনি ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে মিছিলটি অবৈধ সমাবেশে রূপ নেয়। এ আসামি প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের লোকজনদের হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে সাত রাউন্ড গুলি করে। আসামির অবৈধ গুলির উৎসসহ আরও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দখলে রয়েছে কি না তা জানার জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন এ তদন্ত কর্মকর্তা।
এরআগে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে অস্ত্রধারী সেই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির লাইসেন্সমূলে মালিক দাবি করলেও এ সংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের গণসংযোগে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। প্রচারণায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেলমেট পরিহিত একজনকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।