Tuesday 03 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অনাস্থা নয়, ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ভোট দিতে আসেননি’


২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:২২ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৫৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ভোট ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা নয়, ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ভোট দিতে আসেননি। আর এই কারণেই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘অনাস্থার কারণে ভোটে যায়নি, এটা আমার কাছে মনে হয়নি। অনাস্থার কারণে যদি ভোটে না যেত, তাহলে যারা সরকারি দল তাদের তো অন্তত ভোটে অনাস্থা নেই। তাদের যদি সব ভোটার ভোট দিত, তাহলেও তো এত কম ভোট পড়ত না। তার মানে হল, তাদেরও অনেক ভোটার ভোট দিতে যান নাই। যারা সরকারকে সমর্থন করেন। আমি ভোট না দিতে গেলেও সমস্যা নেই, এ ধরনের একটা মনোভাব থেকে হয়তো অনেকেই ভোট দিতে যান নাই।’ ভোট দিতে না যাওয়ার আরও কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘জনগণ ছুটি পেয়েছে, অনেকে ছুটি ভোগ করছে। কেউ কেউ ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিল।’

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৯ দশমিক ০০২ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে দুই সিটিতে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের হারে ‘আমরা অসন্তুষ্ট না। আমাদের ধারণা ছিল, শতকরা ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু তার চেয়ে কম পড়েছে। ভোট কাস্টিংয়ের দিক থেকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না।’

সচিবের দাবি, ‘নির্বাচনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। পরিবেশ ভালো ছিল। কোথাও তেমন কোনো গণ্ডগোল হয়নি। কাউকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বায়াস (পক্ষপাতদুষ্ট) ছিল না। সবকিছুই সঠিক ছিল।’

ভোটারদের না আনতে পারার ব্যর্থতা নির্বাচন কমিশনের কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘মোটেই না। কারণ ভোট কেন্দ্রে আসার দায়িত্ব ভোটারের। বিয়ের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্ব আমার, কিন্তু দাওয়াতে আসবেন কি না সেটা আপনার ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে ভোটের হার অনেক কম। অস্ট্রেলিয়ায় ভোট মানুষ দিতে আসে না। অস্ট্রেলিয়া সরকার ও নির্বাচন কমিশন কী ব্যর্থ? মোটেই না। এ জন্য সেখানে আইন করা হয়েছে যে, ভোট না দিতে আসলে ১০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। তারা ১০০ ডলার জরিমানা দেয়, তারপরও ভোট দিতে যায় না।’

অনেক গোপন কক্ষে অরেকজন আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিল কিংবা গোপন কক্ষে গিয়ে একজনের ভোট অন্যজন দিয়েছে। এ বিষয়টি কমিশন কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করবে কি না? এর জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘এ অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে খুবই অল্প মাত্রায় আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।’

বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটিও আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি।’ এই দুই অভিযোগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশনে লিখিতভাবে আসলে তদন্ত করা হবে, নাহলে করা হবে না বলেও জানান ইসি সচিব।

ইসি নির্বাচন ব্যস্ততা সুষ্ঠু নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর