‘ডিজেল পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে’

সংসদ ভবন থেকে: ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচারের নজির থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত কৃষি সেচ মৌসুমে ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচারও হয়ে থাকে। তাই জ্বালানি তেল পাচার রোধে সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ (বিজিবি) সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবির নিয়মিত অভিযান ও টহল তৎপরতা এবং সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের বাইরেও প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সীমান্ত রক্ষা, তথা চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিওপিগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে নজরদারি বাড়াতে এ পর্যন্ত মোট ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোস্ট (বিএসপি) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সেচ মৌসুমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ডিজেল পাচার প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা বাড়াতেও বিজিবির পক্ষ থেকে কাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি সমুদ্রপথে পাচারের সময় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৫ লিটার ডিজেল আটক করেছে কোস্ট গার্ড। জ্বালানি তেল যেন পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তবর্তী ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পক্ষ থেকে প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত ও পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. এবাদুল করিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে জানান, বর্তমান সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ডিজেল পাচার নজরদারি সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী