একসপ্তাহ পর গ্রামীণফোনের সিম মিলবে না বাজারে!
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৮
ঢাকা: দেশের বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি) সিম সংকটের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অপারেটরটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান।
তিনি বলছেন, বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে কিছু জিপি সিম থাকলেও তাদের কাছে যে পরিমাণ সিম আছে, তা অত্যন্ত নগণ্য। নতুন নম্বর সিরিজ বরাদ্দ না পেলে সপ্তাহ খানেক পর থেকেই সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা নতুন সিম নম্বর সিরিজ (বরাদ্দ) পাচ্ছি না। রিসাইক্লিংয়ের কোনো নম্বরও আমাদের হাতে নেই। আগামী এক সপ্তাহ পরে একটা সিচুয়েশন আসবে যে আমরা আর নম্বর দিতে পারব না।
এতে আরও একটি ‘পেঁয়াজ’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন জিপি সিইও। তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে খুব ভীত। আরেকটা পেঁয়াজের মতো সিচ্যুয়েশন হয়ে যেতে পারে। আমরা যদি নতুন নম্বর দিতে না পারি, এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, সিমের দাম অনেক বেড়ে যাবে। এটি খুব বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই ‘০১৭’ সিরিজের মোবাইল নম্বর সম্বলিত সিম বিক্রি করে আসছিল গ্রামীণফোন। ২০১৫ সালের দিকে এই সিরিজের ১০ কোটি নম্বর বিক্রি শেষ হয়ে আসছে বলে নতুন সিরিজের জন্য আবেদন করে অপারেটরটি। এরপর তাদের ‘০১৩’ সিরিজটি বরাদ্দ দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। তবে এই সিরিজের কেবল ‘০১৩০’ ও ‘০১৩১’ দিয়ে শুরু দুই কোটি নম্বর বিক্রির অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই দুই কোটি নম্বর বিক্রিও শেষ হয়ে এসেছে বলে জানান জিপি সিইও।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে কোনো সিম নেই। খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু সিম রয়েছে। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে আর সিম পাওয়া যাবে না। এছাড়া সিম রিসাইকেলের (পুরনো বন্ধ সিম নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিক্রির জন্য প্রস্তুক করা) জন্য বিটিআরসির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট দূর না হলে সিম নষ্ট হয়ে গেলে নতুন করে তা উঠানো যাবে না বলেও জানান তিনি।
গ্রামীণফোনের প্রথম বাংলাদেশি এই সিইও জানান, গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী সেবায় গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন ইয়াসির আজমান।