Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আশকোনা ক্যাম্প থেকে কুর্মিটোলায় নেওয়া বাংলাদেশি সুস্থ আছেন’


৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৩

ঢাকা: সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা বলেছেন, আশকোনা ক্যাম্প থেকে কুর্মিটোলায় নেওয়া বাংলাদেশি সুস্থ আছেন। গতরাতে তার শরীরের জ্বরের উপসর্গ দেখা যাওয়ায় তাকে কুর্মিটোলায় নেওয়া হয়েছিল। তবে এরপর আর তার জ্বর আসে নি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আইইডিসিআর কার্যালয়ে তিনি সারাবাংলাকে এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা বলেন, আশকোনা হজক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশিদের সবাই ভালো আছেন। গতরাতে একজনের শরীরের তাপমাত্রা আমাদের যে প্রমাণ তাপমাত্রা আছে তার চাইতে একটু বেশি পাওয়া গেছে। তাই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাকে যখন পাঠানো হয় তখনও তার জ্বর ছিল না। এর পরেও তার আর জ্বর আসে নি। তারপরেও আমরা তাকে পাঠিয়েছি অবজারভেশনে রাখার জন্য। একই সঙ্গে কোয়ারান্টাইন থেকে সরিয়ে আইসোলেশনে রাখার জন্য। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর ফলাফল আসার পরে বোঝা যাবে তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি নেই। তবে তার শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত।

তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশে যে মৌসুম তাতে আসলে জ্বর আসা খুবই স্বাভাবিক। এছাড়াও তারা কিন্তু ফ্লোরে থেকে কেউ অভ্যস্ত না। একই সঙ্গে তারা সবাই অনেক দূর জার্নি করে এসেছেন। এগুলোর প্রভাব হিসেবে আসলে জ্বর আসাটা অস্বাভাবিক না। আর জ্বর আসলেই কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত, বিষয়টি আসলে সঠিক নয়। যে আটজনকে নিয়ে কথা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদেরও কিন্তু জ্বর ছিল। কিন্তু তারা কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না।

বিজ্ঞাপন

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, আশকোনা ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশিকে সাবধানতার জন্য রাখা হয়েছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বিকেলের মধ্যে আমরা পরীক্ষার ফলাফলও পেয়ে যাবো। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহবান জানাই আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে মৌসুম চলছে তাতে নানা রকমের ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ভাইরাল ফিভার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। চীনেও কিন্তু এখন শীত মৌসুম চলছে। সেখানে থেকে যারা এসেছে তাদের শরীরের কিন্তু একটা ভ্রমণের ধকলও গেছে। প্লেনেও তারা ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায়। তার মধ্যে এরা সবাই কিন্তু তাদের অবস্থা নিয়েও চিন্তিত। সবকিছু মিলিয়ে যেকোনো স্বাভাবিক মানুষেরই শরীর দুর্বল হওয়ার কথা। আর তাই জ্বর আসলেই কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত, বিষয়টি সঠিক নয়।

এ সময় আসলে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আইইডিসিআর-এর প্রধান এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইইডিসিআর এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকা চীনফেরত সাতজনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ফের হজক্যাম্পে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ মেলেনি।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর