Tuesday 01 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীনের স্বীকারোক্তি: সংক্রমণ প্রতিহতের প্রচেষ্টায় ‘ঘাটতি’ ছিল


৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৪৫ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:০৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমেরিকার পরে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা চীনের আছে, এটা পুরনো কথা। প্রযুক্তি আর বাণিজ্যে বিশ্বকে প্রতিনিয়ত বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে চীন। সারা দুনিয়ায় যেখানেই যান সেখানে ‘মেইড ইন চায়না’ দেখবেন না এটা এখন অসম্ভব ব্যাপার। সেই চীনের এখন দরদর করে ঘাম ছুটছে করোনাভাইরাস ঠেকাতে গিয়ে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর নেতৃত্বে পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানেই শীর্ষ নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে চীনের প্রচেষ্টায় ‘ঘাটতি’ ছিল।

চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, সোমবার রাতে পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনাভাইরাস প্রতিহত করার চলমান প্রচেষ্টাকে চীনের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বলে আখ্যা দেওয়া হয় এবং বলা হয় এ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে গিয়ে যেসব ‘অক্ষমতা ও ঘাটতি’ স্পষ্ট হয়েছে, সেগুলোর প্রেক্ষিতে, আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নতি করতে হবে। সেই সাথে জরুরি ও ভয়ঙ্কর কাজগুলো মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

এতে আরো বলা হয়, ‘বাজার পর্যবেক্ষণ আরো জোরদার করা, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাজার ও বাণিজ্যের ওপর দ্ব্যর্থহীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং কঠোর অভিযান পরিচালনা করা জরুরি।’

পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে, উহান ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবেই গণ্য হবে এবং সেখানে আরো স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে।

মহামারি প্রতিরোধে নিজেদের ভূমিকার পূর্ণ দায়ভার কর্মকর্তাদের নেওয়া উচিত উল্লেখ করে কমিটি হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, যারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।

পলিটব্যুরোর কাছ থেকে এমন খোলামেলা স্বীকারোক্তি ‘বিরল’ বলে এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে আরেক প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি। বৈঠকে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নতির আহ্বান জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। একইসঙ্গে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাজারগুলোর বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ধারণা করা হয় এই বাজারগুলো থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শুরু হয়।

ওদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে। এছাড়া, দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হংকং এ। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি উহান শহরে গিয়েছিলেন যেখান থেকে নতুন এ ভাইরাসের উৎপত্তি। মঙ্গলবার কোয়াই চুং এলাকার প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এ নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪শর বেশি।

গেল ডিসেম্বরে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে ২০ হাজারেরও বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীন যেভাবে ভাইরাসটি প্রতিহত করেছে সেটার নানা দিক নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। শুরুর দিকে কর্মকর্তারা ভাইরাসটির ভয়াবহতা খাটো করে দেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খবর গোপন করার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

করোনাভাইরাস প্রতিহতের প্রচেষ্টায় ঘাটতি ছিল