ডিটারজেন্টের ঘোষণা দিয়ে কসমেটিকস আমদানি, ‘শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা’
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডিটারজেন্ট আমদানির ঘোষণা দিয়ে প্রসাধনী এনে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান। চালানটি খালাসের সময় কায়িক পরীক্ষায় কাস্টমস কর্মকর্তারা এই জালিয়াতি উদঘাটন করেন।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা এই চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারি কমিশনার সানজিদা অনুসূয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সরণীর ইসমাইল ম্যানশনের সুপার শপ ‘ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল’ ২০ হাজার ৬২৫ ডলার দিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ১৩ হাজার ৭৫০ কেজি পরিচ্ছন্নতায় ব্যবহৃত সামগ্রী আনার ঘোষণা দিয়ে ঋণপত্র খুলেছিল ট্রাস্ট ব্যাংকে। থাইল্যান্ডের সেজা ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট কোম্পানি থেকে কেনা পণ্যের চালানটি ২০১৯ সালের মে মাসে ‘এমভি মেরিন থারাবা’ নামে একটি জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
ওই বছরের ২১ মে চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের দক্ষিণ আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ ওএসএল ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গোপন সূত্রে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আনার তথ্য পেয়ে ওই চালান কাস্টমসের বিশেষায়িত সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে ‘লক’ করে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় কাস্টমস অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্জ (এআইআর) শাখাকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নূর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘লক করা চালানের কনটেইনার খোলার পর কায়িক পরীক্ষায় সেখানে পরিচ্ছন্ন সামগ্রীর বদলে বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস পাওয়া গেছে। কসমেটিকসের শুল্ক ১২৭ শতাংশ। পরিচ্ছন্ন সামগ্রীর শুল্ক অনেক কম। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে।’
আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।