করোনা আক্রান্ত যাত্রী বিপদে ফেললেন সাড়ে ৩ হাজার আরোহীকে
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:১৩
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ভ্রমণকারীদের তালিকায় ছিলেন, আর তাই বিলাসবহুল একটি জাহাজের ক্রসহ ৩ হাজার ৭০০ আরোহীকে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে। জাহাজটি এখন অবস্থান করছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে। সেটিকে সেখানেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিএনএন বলছে, যেই মুহূর্তে জানা গেছে যে সংক্রমনের শিকার এক যাত্রী টোকিও থেকে এই প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে উঠেছিলেন এবং কয়েকদিন ছিলেন সেই মুহূর্ত থেকে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। যাত্রীদেরও নিরাপদ দূরত্বে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়।
জাপান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, চিকিৎসা কর্মকর্তারা প্রত্যের আরোহীর ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপছেন ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজের ১০ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেকের বয়স ৫০ এর উপরে।
তবে এখনো শতাধিক পরীক্ষার ফল হাতে আসেনি। বিলাসবহুল এই প্রমোদ জাহাজে ২ হাজার ৬৬৬ জন অতিথি এবং ১ হাজার ৪৫ জন ক্রু রয়েছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ছিল আনুমানিক ৮০ বছর। তিনি হংকং থেকে জাহাজটিতে উঠেছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি চীন থেকে ভ্রমণ শেষে ফেরেন তিনি। তবে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। তবে এটাও ঠিক যে তিনি চীনে ভ্রমণের সময় সামুদ্রিক খাবারের দোকানেও যাননি। এর অর্থ হলো, তিনি অন্য কারও দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি তিনি জাপানের টোকিও পৌঁছেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে কাশিসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তার। ২০ জানুয়ারি ইয়োকোহামা বন্দর থেকে জাহাজটিতে ওঠেন তিনি। এরপর ২৫ জানুয়ারি জাহাজ থেকে হংকংয়ে নামানে। ৩০ জানুয়ারি জানা যায় যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে চীনে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বের ২৫ টি দেশে ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাস। যাতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইজন বাদে বাকিরা সবাই চীনে মারা গেছেন।