বিমানবন্দর থেকে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চীন ফেরত হৃদয়ের
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৪২
ঢাকা: করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে চীনের উহান শহর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ৩১২ বাংলাদেশিকে। এর বাইরেও উহানসহ চীনের আরও অনেক শহরে এখনো রয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তাদেরই একজন হৃদয় খান (২৫) দেশে ফিরেছেন মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে। তবে চীন ফেরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ অন্যদের আশকোনা হজ ক্যাম্পের ‘কোয়ারেনটাইন ইউনিটে’ পর্যবেক্ষণে রাখার নিয়ম থাকলেও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পরই পালিয়েছিলেন তিনি। রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির পথে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সায়েদাবাদে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সংজ্ঞা হারিয়েছেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সায়েদাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উদ্ধার করেন চীন ফেরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হৃদয় খানকে। তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় হৃদয়কে। শরীরে জ্বর বা অন্য উপসর্গ না থাকলেও চীন থেকে আসায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সায়দাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজন মিয়া সারাবাংলাকে জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পাই, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ভেতরের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ডাক্তাররা তার স্টমাক ওয়াশ করেছেন। ধারণা করছি, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি।
এএসআই সুজন জানান, হৃদয়ের কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেছে, যা থেকে জানতে পারি তিনি চীন থেকে এসেছেন। আর তার কাছে যে মোবাইল ছিল, তার মাধ্যমে তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে সমর্থ হই। তাদের সঙ্গে কথা বলেই হৃদয়ের তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের কাছে তথ্য পেয়ে হৃদয়ের দূর সম্পর্কের একজন আত্মীয় আবু সিদ্দিক এসেছিলেন ঢামেক হাসপাতালে। তিনি জানান, হৃদয়ের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। আট মাস আগে পড়ালেখার উদ্দেশ্যেই চীন যান তিনি। মঙ্গলবার রাতে হৃদয় দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দর থেকে গ্রামের বাড়ি যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, হৃদয় খান নামে এক তরুণকে হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে, গত রাতে চীন থেকে ফিরেছেন তিনি। তার শরীরে জ্বর বা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্য কোনো উপসর্গ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। তারপরও যেহেতু তিনি চীন থেকে এসেছেন, তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, সে বিষয়ক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল চীন ফেরত তরুণ চীন ফেরত শিক্ষার্থী