Wednesday 09 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান’


৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:১৮

রাবাব ফাতেমা, ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয় উক্তি ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উদ্বৃত করে দেশে সব ধর্মের মানুষ কীভাবে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে তা তুলে ধরেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘বৈষম্য, বৈরিতা ও সহিংসতা বন্ধে ঘৃণাত্বক বক্তব্য মোকাবিলা ও উসকানি প্রতিরোধ: জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয়’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কথা তুলে ধরেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ উপলক্ষে জাতিসংঘের জেনোসাইড প্রিভেনশন ও রেসপন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট কার্যালয় এই সাইড-ইভেন্টের আয়োজন করে। এতে সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, মরক্কো ও ইতালি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষকগণকে আমাদের সমাজে সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখা হয়। এ কারণে আমরা তাদের সামনের সারিতে রেখে সমাজ থেকে ধর্মের অপব্যবহার, ঘৃণাত্বক বক্তব্য, অসিহষ্ণুতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

এক্ষেত্রে তিনি ধর্মীয় নেতা, মসজিদসহ ধর্মীয় উপসানলয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের বেশকিছু উদাহরণ তুলে ধরেন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এক্ষেত্রে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ লক্ষ্যে ‘সমগ্র সমাজ’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছি।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বহুপাক্ষিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের নানা দিক উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে গঠিত ‘গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিআরইএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আন্তঃধর্মীয় প্রচারণা, আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসে সদস্য। এছাড়া আমরা বাংলাদেশের ফ্লাগশিপ রেজুলেশন ‘শান্তির সংস্কৃতি’র মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের প্রসারে নিরবচ্ছিনভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

ঘৃণাত্বক বক্তব্য রোধে কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে বেশকিছু সুপারিশের কথা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন।

গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অ্যাডামা ডিয়েং ইভেন্টটির সঞ্চালনা করেন। সম্প্রতি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

আন্তঃধর্মীয় জাতিসংঘ টপ নিউজ রাবাব ফাতিমা সম্প্রীতি

বিজ্ঞাপন

খুলনায় ৩ যুবককে কুপিয়ে জখম
৮ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৫৪

আরো

সম্পর্কিত খবর