বিদেশি বিনিয়োগ ফেরত বিষয়ে নীতিমালা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:৪২
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে বা ফেরত নিতে নীতিমালা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পেতে সহজ হবে। এতদিন বাংলাদেশ থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগ ফেরত নিতে পারলেও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করে। নির্দেশনাটি সকল ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা না থাকলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশ থেকে বিনিয়োগ ও লভ্যাংশ ফেরত নিতে পারত। সেক্ষেত্রেও ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করা হতো বাংলাদেশ ব্যাংকে।প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে সময় লাগত।
আবার প্রক্রিয়া নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে সংশয় ছিল হয়ত বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত নেওয়া যায় না। এ সংশয় কাটানো ও এ বিষয়ে স্পষ্ট নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, আদালতের নির্দেশ বা অনুমতি, স্বেচ্ছায় বা অন্য কোনো কারণে কোম্পানি বন্ধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবসায়ক নিয়োগ করে কোম্পানির সকল দায়, দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা করতে হবে।
কোম্পানির সম্পূর্ণ স্থানীয় দায়-দেনা পরিশোধের পর শেয়ারধারক হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থ ফেরত নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রেও ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে কতিপয় নির্দেশনা পরিপালন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে রয়েছে কোম্পানির পূর্ণাঙ্গ তথ্য, সর্বশেষ নিরীক্ষা রিপোর্ট, শেয়ারের সংখ্যা, অর্থের পরিমাণ, করকর্তন এবং অবসায়কের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এতে ২০টিরও তথ্য পূরণ করতে হবে বিনিয়োগকারীদের। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের স্থানীয় শেয়ার বিক্রি করেও অর্থ ফেরত নিতে পারবে এ প্রক্রিয়ায়।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় (জুলাই-ডিসেম্বর) মাসে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে তিন দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয় ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।