এফ এম শাহীনের ‘গণজাগরণের দিনগুলি’র মোড়ক উন্মোচন
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৮
২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনের স্মৃতিচারণ নিয়ে এফ এম শাহীন রচিত ‘গণজাগরণের দিনগুলি’ বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বইটি প্রকাশ করেছে বাংলা জার্নাল। লেখক এফ এম শাহীন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠকদের একজন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। মূলত এই বইটিতে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সেইসব দিনের স্মৃতিকথা, ঘটে যাওয়া ইতিবৃত্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সামাদ। তিনি বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ শুধু শাহবাগেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সারা দেশে এ জাগরণ তৈরি হয়েছিল। এটা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতে শাহীন যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। এজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ আরও বলেন, এই বই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করবে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দুই ধরনের রাজনৈতিক ধারা দেখা যায়। একটা হলো মুজিবীয় দল, আরেকটি মুজিব বিরোধী দল। মুজিবীয় দল হলে মূলধারার রাজনীতির পক্ষে। এই বই মূলধারার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসময় তিনি পরবর্তী সংস্করণে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করে বইটি আরও সমৃদ্ধ করার পরামর্শ দেন ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাটোর ৪ আসনের এমপি অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ ছিল তারুণ্যের জয়ধ্বনি। মনে হয়েছিল আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। তারুণ্যের এই আন্দোলনের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার হয়েছে।
লেখক এফ এম শাহীন বলেন, বইটিতে উত্তাল সময়ের কথাগুলোই স্মৃতিগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তরুণ প্রজন্ম ও যারা শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী, বইটি তাদের কিছুটা হলেও প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে বিশ্বাস করি। বইটি তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে সব সময় প্রেরণা জোগাবে বলেও আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম একাত্তর এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. তৌহিদ রেজা নূর, সাবেক সাংসদ কবি কাজী রোজি, কবি আসলাম সানী, গৌরব একাত্তর’র সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি, গণজাগরণে মঞ্চের কর্মী মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, কানিজ আকলিমা সুলতানা, জার্মান প্রবাসী বাঙালি রোকেয়া সুলতানাসহ আরও অনেকে।