ফের নির্বাচনের দাবি মামা বাড়ির আবদার: ওবায়দুল কাদের
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০৩
ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পুনর্নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এটা মামা বাড়ির আবদার। বিএনপি এখন বলার জন্য বলছে, বিরোধিতার জন্য তারা বিরোধিতা করছে। তারাও জানে এই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা দুই সিটিতে পুনরায় নির্বাচনের যে দাবি জানিয়েছেন সে সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইলেকশনে ভায়োলন্স হয়েছে, এটা কেউ বলবে না। আর এই ইলেকশনে কারচুপি জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি ইলেকশনে কোনো প্রকার জালিয়াতি কারচুপি হয় তাহলে ভোটের টার্ন আউট অনেক বেশি হতে পারত। টার্ন আউট তো ৩০ শতাংশেরও নিচে।’
দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটের শতাংশের হার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারচুপি জালিয়াতি হলে তো উপস্থিতি এতো কম হওয়ার কথা না। কারচুপি করে ইভিএমে জেতার কোনো বিষয় থাকে না। কারচুপি যাতে না হয় সেজন্যই আধুনিক প্রযুক্তি। কারচুপি রোধ করার জন্যই এই ব্যবস্থা। বিএনপি এখন বলার জন্য বলছে, বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করছে। কিন্তু তারাও জানে এই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে।’
কোথাও দুই একটা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, তবে সেটাকে অত্যন্ত নগন্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। ভোট যেটাই হোক জনগণের ভোটেই তারা নির্বাচিত হয়েছে।’
নির্বাচনে এত কম সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে সরকারের কোনো দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ইভিএম একটা নতুন সিস্টেম। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করেছে। তাদের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, কাজেই একটি ভালো ইলেকশন হয়েছে। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে। ইলেকশন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, অনেকে বলেছে যে নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতা হবে সেটা তো হয়নি। এটা অবশ্যই স্বস্তিদায়ক।’
বিএনপি সমাবেশ করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে কিনা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি আমাকে একটা উদাহরণ বলেন সুনির্দিষ্টভাবে। যে তারা ঢাকা শহরে সমাবেশ করেছে বা বাংলাদেশের কোথাও সমাবেশ করেছে আর আওয়ামী লীগ তাদেরকে ডিস্টার্ব করেছে। আওয়ামী লীগ কোথাও কোন সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা, বাধা দেওয়ার কোনো উদাহরণ নেই।’
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা বিদ্রোহী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে দলের অবস্থান জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দেশে ফিরলে ওয়ার্কিং কমিটির একটা মিটিং আমরা করবো দ্রুত। সেখানে আমরা সিটি নির্বাচনের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবো। সেখানে আমরা সাফল্য নিয়ে যেমন আলোচনা করব তেমনি দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সাংগঠনিক-কাঠামোটা পুনর্বিন্যাসের বাকি কাজ যেখানে যেখানে প্রয়োজন সে কাজটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে অল্পদিনের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সমৃপাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলন, আ খ ম জাহাঙ্গীর, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আকতার পপি, পারভীন জামান কল্পনাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পুনর্নির্বাচন মামা বাড়ির আবদার