‘বিএনপির আচরণ নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকার মতো’
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়, আর যখনই নির্বাচনে হেরে যায় তখন তাদের আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো অভিযোগ উপস্থাপন করে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে করা অভিযোগও সেরকম ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে এ ধরনের আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন না করে বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের নেতাকর্মীরা কেন আপনাদের কাছ থেকে সরে গেছেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন ভোটের দিন মাঠে ছিল না তা বিশ্লেষণ করুন। তাহলে আপনাদের দল উপকৃত হবে।’
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর দেখলাম দুই মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তারা কিছু আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। তারা বলেছেন ইভিএম মেশিনে নাকি রাত পর্যন্ত ভোট দেওয়া হয়। ইভিএম মেশিনে যদি এমন সুযোগ থাকতো তাহলে ভোট গ্রহণের হার ২৫ শতাংশ থাকতো না, ৬০ শতাংশের উপরে যেত।’
ইভিএম মেশিন নিজেই সব দলের জন্য পোলিং এজেন্টের কাজ করেন। কারও যদি আঙুলের চাপ না মিলে কোনোভাবেই ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি সিইসিকেও আঙুলের চাপ না মেলায় ভোট দিতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোট পেয়ে যখন জয়ী হয়েছে তখন তো বিএনপিকে নানা ধরনের অভিযোগ উপস্থাপন করতে হবে। সেটিই তারা করেছে।
ঢাকা দক্ষিণের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে চারটা পর্যন্ত সময় কেন লাগল বিএনপির এমন অভিযোগের ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তো বিএনপির মতো গোঁজামিল দিয়ে নির্বাচন শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করিনি। সঠিক ফলাফল ঘোষণার জন্যেই নির্বাচন কমিশন সময় নিয়েছে। বিএনপির এসব অভিযোগ জনগণের কাছে নিজেদের হাস্যস্পদ হিসেবে উপস্থাপন করছে। দেশের ইতিহাসে ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন অন্যতম একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে কোনো কেন্দ্র দখল, বড় কোনো হাঙ্গামা হয়নি, সিল মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অতীতে দেখেছি, আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অনেক হাঙ্গামা, কেন্দ্র দখল ও মানুষ মারা যায়। ঢাকা সিটি করপোরেশনে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ফলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র দেশের বিচারে নয় উপমহাদেশীয় মানদণ্ডেও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল অত্যন্ত ভালো একটি নির্বাচন।’
প্রতিনিধি সভায় অন্যান্যের মধ্যে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুন নেছা তালুকদার, প্রফেসর মনছুর রহমান এমপি, সাবেক এমপি আকতার জাহান, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, আয়েন উদ্দিন এমপি, অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা এমপি, এনামুল হক এমপি প্রমুখ। বিকেলে একই ভেন্যুতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।