স্ত্রীকে ধর্ষণের সময় কৌশলে যুবককে পুলিশে ধরিয়ে দিলেন স্বামী
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:১৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্ত্রীকে ধর্ষণের সময়ই কৌশলে ধর্ষণকারীকে ধরিয়ে দিলেন স্বামী। পুলিশ ওই ধর্ষককে আটকের সময় তার কাছে ইয়াবাও পেয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুলগাঁও ট্যানারি বটতল এলাকায় একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেফতার মো. মাসুদুল হাসান চৌধুরী জিকু’র (২৯) বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে। বাসা নগরীর পাঁচলাইশ থানার কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার ডা. শামীম বক্সের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায়। বাবার নাম হাসান চৌধুরী।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার সারাবাংলাকে জানান, জিকু মাদকাসক্ত ও বখাটে। ২০১৬ সালে গৃহবধূর সঙ্গে ফেসবুকে জিকুর পরিচয় হয়। গত চার বছর ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগের পর গত জানুয়ারিতে জিকুকে বাসার ঠিকানা দেন গৃহবধূ। ১৩ জানুয়ারি রাতে সে ওই বাসায় গিয়ে নিজেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মৃত অমিত মুহুরীর সেকেন্ড ইন কমান্ড পরিচয় দেয় এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর স্বামী ও তিন সন্তানকে বাসার একরুমে আটকে রাখে। এরপর ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
‘গত ২ ফেব্রুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি রাতেও ওই বাসায় গিয়ে জিকু ইয়াবা সেবন করে এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে স্বামী একবার প্রতিবাদ করলে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। গলায় বটি ধরে সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয়। বুধবার বিকেলেও তিন সন্তান ও স্বামীকে জিম্মি করে একইভাবে ধর্ষণের সময় স্বামী কোনোমতে তাকে আটকে রাখা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর তিনি বাসার বাইরে গিয়ে দরজায় তালা দিয়ে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে জিকুর কবল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করি।’
ওসি প্রিটন আরও বলেন, ‘নিজেকে সন্ত্রাসী পরিচয় দেওয়ায় আসলে ভয়ে স্বামী এতদিন থানায় যেতে সাহস পাননি। অভিযোগ পেয়ে আমরা ওই বাসায় যাবার পর জিকুর কাছে ৫১০ পিস ইয়াবা পেয়ে সেগুলো জব্দ করি। এরপর তাকে ইয়াবা সরবরাহকারী নগরীর বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল থেকে হেলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি।’
জিকুর বিরুদ্ধে আক্রান্ত নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এছাড়া পুলিশ বাদি হয়ে মাদক আইনে আরেকটি মামলা করেছেন বলে ওসি জানিয়েছেন।