করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৮
ঢাকা: বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে করোনাভাইরাস। চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। আশঙ্কা রয়েছে, ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়েছে বিভিন্ন প্রস্তুতি।
মন্ত্রণালয়ের দাবি, বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাব্যবস্থার প্রস্তুতি ও দেশের সব বন্দরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমকে অবহিত করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।
এই সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় যেসব প্রস্তুতি নিয়েছে, তা হলো—
১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ব্যবস্থা প্রস্তুত করা হচ্ছে;
২. সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে;
৩. কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন কক্ষ স্থাপন করা হচ্ছে;
৪. সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ৈছে;
এবং ৫. নিয়মিতভাবে ঝুঁকি সংযোগ বা রিস্ক কমিউনিকেশন করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো—
১. সংক্রমণ প্রতিরোধে জোর দেওয়া;
২. চীনের নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়মিতভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা;
এবং ৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারিত গুজবকে যথাযথভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে জবাব দেওয়া হচ্ছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। এ পর্যন্ত ২৫ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।