Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিমানবন্দরে ঘটা ‘বিভ্রান্তির’ ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের


৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:২৫

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সকল বন্দরে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ৩ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীন থেকে আগত সাউদার্ন এয়ারলাইনসের এক যাত্রী জানান, কোনো প্রকার চেকিং করা হচ্ছে না বাংলাদেশের বিমানবন্দরে। একই অভিযোগ আরও অনেকে।

আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ বিষয়কে অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ১ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চীন ফেরত যাত্রীদের অপেক্ষা করার বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ বিমান ঢাকায় আসে। তাদের অধিকাংশকেই কোয়ারেন্টাইনের জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়। কয়েকজনকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে। এরপরে চীন থেকে আসা সকল ফ্লাইটের যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে কি না তা নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতামত ছিল শুধু যারা উহান থেকে আসবে তাদেরই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। একই সঙ্গে চীনের অন্য অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীদের লক্ষণ দেখে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতামতে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এতে যথেষ্ঠ বিলম্ব হয়।’

বিজ্ঞাপন

যাত্রীরা থার্মাল স্ক্যানার মেশিন পার হয়ে ইমিগ্রেশন এলাকায় আসেন কিন্তু সেখান থেকে সকল প্রক্রিয়া শেষ করার পরেও বিমানবন্দর ত্যাগ করতে না দেওয়ায় ভীড় জমে যায়। এ সময়ে কিছু সংখ্যক যাত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। থার্মাল স্ক্যানার এলাকায়ও ভীড় হয়ে যায়। কিছু যাত্রীকে এ সময় মারমুখী অবস্থাতেও দেখা যায়। নিজেদের রক্ষা করতে সে সময় সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কিছুক্ষণের জন্য একটু। দূরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। সেখান থেকে থার্মাল স্ক্যানারের দিকে নজর রাখেন তারা। একজন স্বাস্থ্যকর্মী মোবাইল ফোনে ধারন করা সেই সময়ের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।

থার্মাল স্ক্যানারে লক্ষণ ধরা না পড়ায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য কার্ডেই লিখে দেওয়া হয়েছিল যাতে সহজে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পরামর্শও দেওয়া হয়। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতির উপরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

এ সময়ে যাত্রীদের বিড়ম্বনা ঘটায় দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

করোনা করোনাভাইরাস বিমানবন্দর স্বাস্থ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর