‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই’
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫১
ঢাকা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দেশের মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ও স্টার্ট আপে সহয়তা দিতে সরকার বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের কোডিং শেখানো হচ্ছে। ন্যাশনাল স্কিল ডেভোলপমেন্ট অথরিটি কাজ করছে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে স্টার্টাপ ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২০, বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফর ডাবল ডিজিট গ্রোথ’ শীর্ষক সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ভিসিপিয়ার চেয়ারম্যান ও ইনজেনারেল গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের জেনারেল পার্টনার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস উজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডক্টর জামাল উদ্দিন আহমেদ, চাকরি খুঁজব না চাকরি দেবো এর ফাউন্ডার মুনীর হোসেনসহ অন্যরা।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জ্বালানি, কৃষি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিগত ১১ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছে। গার্মেন্ট সেক্টরের পর তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশের নেক্সট বিগ থিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে সব সময় খোঁজখবর রাখছেন ও নিজে তদারকি করছেন।’
মুজিবর্ষকে সামনে রেখে এ বছর জাঁকজমকভাবে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২০ যৌথভাবে আয়োজন করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও বাই ইজেনারেশন। স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ আঞ্চলিক পর্বে দেড় শতাধিক স্টার্ট আপ আবেদন করে। এর মধ্যে আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার জন্য দেশের ৮ টি কোম্পানিকে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে শুধু একটি এক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি রযেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে অন্তত ৫টি বিলিয়ন ডলারের মূল্যমানের কোম্পানি অথবা ইউনিকর্ন তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে এক দশমিক ৪৫ বিরিয়ন ডলারের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। এটিকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সেমিনারে উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বলেন, এসব স্টার্টআপগুলোতে বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে দেড় লাখ এবং পরোক্ষভাবে সাত লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছে। ভিশন ২০২৫ এ ২০২৫ সাল নাগাদ প্রত্যেক্ষভাবে ১০ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থার তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফর ডাবল ডিজিট গ্রোথ শিল্প বিপ্লব সালমান এফ রহমান