Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খাদ্য সংকটে নেই: রাষ্ট্রদূত


৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:০১

ঢাকা: হুবেই প্রদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কোনো খাদ্য সংকট নেই বলে জানিয়েছেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান। এছাড়া তিনি সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকতে ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠান রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান।

বিজ্ঞাপন

বার্তায় রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান জানান, করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে হুবেই প্রদেশের ইয়েচংয়ের থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং খাদ্য সংকটের অভিযোগ সম্পর্কে চীনের বাংলাদেশ মিশনের নেওয়া উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানাতে চাই। চীন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি মূলত একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা-বেইজিং সরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দূতাবাসের একক কোনো ক্ষমতা নেই। এরই মধ্যে ৩১২ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিষয়ে দূতাবাস প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, তা নির্ভর করছে বাস্তবতার ওপর। দূতাবাস দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায় যে নাগরিকদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

চীনের থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী খাদ্য ঘাটতির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে, সে সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র বিষয়ক সমন্বয়কারী মি. লি খেয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন সেখানে খাদ্য সরবরাহ সন্তোষজনক।’

বিজ্ঞাপন

‘দূতাবাস থেকে পানি এবং চাল পাঠানোর প্রস্তাব দিলে থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র বিষয়ক সমন্বয়কারী মি. লি খেয়ের জানান যে তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে’, এমন তথ্য জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান বলেন, এ ছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য প্রধানশহরগুলির মতো বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ইয়াচাং শহরটিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় খুব দ্রুত বাইরে থেকে খাদ্য পাঠানো কঠিন।’

রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান আরও জানান, আন্তর্জাতিক ছাত্র বিষয়ক সমন্বয়কারী মি. লি খেয়ের দূতাবাসকে জানিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যভাণ্ডারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম, চাল, তেল, মরিচ এবং মশলা, চিনি, লবণসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেখানে অবস্থান করছে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। খাদ্য সরবরাহের জন্য কিছু সুপারমার্কেট নতুন করে অনলাইনে অর্ডার নিচ্ছে এবং সরবরাহ করছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনও অনলাইনে খোলা রয়েছে এবং তারা চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কোনো সাধারণ পরিস্থিতি নয়’ উল্লেখ করে লি খেয়ের দূতাবাসকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের ভেতরে থাকতে বলেছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মাহবুব জামান। এছাড়া তিনি জানান, কিছু শিক্ষার্থী এখনো বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি না করে আতঙ্কিত হচ্ছে, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বোত্তম উপায় হল শান্ত থাকা এবং ধৈর্য রাখা।

আতঙ্ক করোনাভাইরাস চীন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর