‘পুলিশ আজ জনতার’
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২৯
ঢাকা: পুলিশ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে জনতার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশ আজ জনতার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমন পুলিশই দেখতে চেয়েছিলেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে জনতার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা হলো সারাদেশের প্রতিচ্ছবি। ঢাকা শহর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সারাদেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেজন্যই আমাদের স্পেশাল অ্যাটেনশন থাকে ঢাকা কেন্দ্রিক। সেজন্যই ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন ইউনিট ডেভেলপ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে যে পুলিশ দেখতে চেয়েছিলেন, আজকের পুলিশ ধীরে ধীরে সেরকমই হচ্ছে। আজকে পুলিশ-জনতার পুলিশ হয়েছে। পুলিশের সবগুলো ইউনিটি সুন্দরভাবে কাজ করছে বলে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেই সক্ষমতা অর্জন করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে নিরাপত্তার বিকল্প কিছু নেই। শুধু তাই নয়, শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্যই পুলিশকে আমরা সেই ধরণের সক্ষমতার জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি।’
স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলাও ধরে রাখতে হবে। আমাদের জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর জন্য সবধরনের ষড়যন্ত্র চলছিল। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকাণ্ড দিয়ে অনেকাংশে বাংলাদেশ পুলিশ মূল্যায়িত হয়ে থাকে। সেজন্য নগরবাসীর সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে হবে ডিএমপিকে। আর এ লক্ষ্য অর্জনে ডিএমপির সদস্যদের নিরলস ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে থানা। তাই আমরা চাচ্ছি থানাকে সব সেবার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে; যাতে করে মানুষ নির্ভয়ে সেখানে গিয়ে অভিযোগ করতে পারে। এ বিষয়টিকে ডিএমপি কমিশনারও জোর দিয়েছেন।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপির ৩৫ হাজার সদস্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগরবাসীর নিরাপত্তাজনিত সব চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমাহীন আনন্দ হতো যদি এই শহরে একটি অপরাধও না হতো। কিন্তু আমরা যতই প্রতিরোধ করি না কেন অপরাধমুক্ত শহর গড়া অনেক কঠিন। পৃথিবীর এমন কোনো শহর পাওয়া যাবে না যেখানে অপরাধ হয় না। তারপরও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এবং সীমিত যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে কেকে কেটে ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে আস্থা নামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ডকুমেন্টরি আকারে প্রকাশ করা হয়। যাতে পুলিশের সফলতার বিভিন্ন দিক ও জনগণের মতামত তুলে ধরা হয়।