ঢাকা: রাজধানীর ডেমরার হাজিনগরের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে সানজিদা আক্তার শান্তা (২২) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তা নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার মাসুমপুর গ্রামের কাউসার হোসেনের মেয়ে। তার স্বামীর নাম আবুল কালাম আজাদ। সে স্বামী এবং আড়াই বছরের মেয়ে ওয়াসেনাতকে নিয়ে ডেমরা হাজিনগর এলাকায় ৬তলা বাড়ির ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকতো। তার স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
শান্তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে মেয়েকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে অফিসে চলে যায়। পরে দুপুরে শান্তা তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে, সে ফাঁসি দিচ্ছে। আজাদ দ্রুত বাসায় এসে দেখে রুমের দরজা বন্ধ। এরপর দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শান্তাকে দেখতে পায়। এ সময় তাদের একমাত্র মেয়ে ওয়াসেনাত পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিল। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে শান্তাকে নামিয়ে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।