বরিশালে ভাইদের হাতে ভাই খুন
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:২৪
বরিশাল: বরিশাল নগরীতে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর বগুরা রোড এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
নিহত মো. ফরিদ হোসেনর (৪৫) ওই এলাকার জেসমিন ভিলার বাসিন্দা মৃত এমএ মজিদ খানের ছেলে। আর আটককৃতরা হলো- নিহতের আপন ভাই মো. শাহে আল খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু ও তার ছেলে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম।
নিহতের অপর ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, ‘তারা ১০ ভাই ও ৩ বোন। এদের মধ্যে মো. ফরিদ হোসেন খান তাদের বাড়ির সামনে থাকা কাতার থাই এ্যালুমুনিয়াম ফেব্রিকেটর নামক স্টল ভাড়া দিতেন। সম্প্রতি স্টলের ভাড়া নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে ওই স্টলের ভাড়াটিয়া স্থানীয় বাসিন্দা কাজাজও জড়ায়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজাজের কাছে স্টলের ভাড়া আনতে যান ফরিদ হোসেন। এ নিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজের সঙ্গে ফরিদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন কাজাজ ফরিদের অপর ভাই মো. শাহ আলম খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু, মজিবর রহমান ও ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে নেয়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায় শাহ আলম, মফিজুল ইসলাম খান নান্না, মজিবর রহমান, সিয়াম এবং স্টলের ভাড়াটিয়া কাজাজ মিলে ফরিদ হোসের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে। বাধা দিতে গেলে তার অপর ভাই জিয়াউর রহমানকেও মারধর করে অন্য ভাইয়েরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে দোকানের ভাড়া টাকা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে । এই অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের ভাই অভিযুক্ত শাহে আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তার অপর ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্না ও তার ছেলে সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।’ পাশাপাশি অভিযুক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজ ও অপর ভাই মজিবর রহমানকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।