Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়নের স্বার্থে স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে হবে: তাজুল ইসলাম


৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:১৫

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক ও স্বচ্ছ ব্যক্তিকে বেছে নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর মিলনায়তনে ‘ইউনিয়ন পরিষদকে অধিকতর কার্যকর ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে করণীয় নির্ধারণ: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গর্বিত জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দ্রুত সাফল্য পাবো।’

কর্মশালায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আর্থিক সক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করে স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিত করা ও স্থানীয় সরকার উন্নয়নে করা ইউপি আইন-২০০৯ এ বর্ণিত কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ওপর আলোচনা করা হয়।

এ সময় ইউনিয়ন পরিষদকে গতিশীল করতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- ইউনিয়ন পরিষদগুলোর অনুকূলে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া। বার্ষিক বরাদ্দ ও মধ্য মেয়াদি বাজেটে তিন বছরের সম্ভাব্য বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে জানিয়ে দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয় বাড়াতে বিদ্যমান মডেল ট্যাক্স সিডিউল অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা আদায় নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা।

স্থানীয় পর্যায়ের যেসব আয় খাতের আয় থেকে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে অংশ দেওয়া যেতে পারে, সেগুলো হলো- আয়কর, ভ্যাট, করপোরেট ট্যাক্স, স্ট্যাম্পস, ল্যান্ড রেভিনিউ, ইলেক্ট্রিসিটি, টেলিফোন, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল। যা স্থানীয় পর্যায়ে পরিশোধ করা হচ্ছে।

প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড সভা, উন্মুক্ত বাজেট সভায় জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইউপির জনবল ঘাটতি দূর করতে হবে। দ্রুত প্রতিটি ইউপিতে একজন করে কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব রক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ইউনিয়নের ১০ জন গ্রাম পুলিশের মধ্য থেকে বাছাই করে তাদের একটি অংশকে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ারও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। মনিটরিংয়ের জন্য মাঠ প্রশাসনের লোকবল বৃদ্ধি ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশও করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন। বক্তারা গ্রামীণ তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের উন্নত জীবন ও সেবাদানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম আরও জনবান্ধব ও গতিশীল করার ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুশাসনের আওতায় আনতে জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষিত ও দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন তারা।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আট বিভাগ থেকে মোট ১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আট বিভাগের আট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, আট বিভাগের আট ইউপি সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের স্বার্থে তাজুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর