সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পাচ্ছে দশ প্রতিষ্ঠান
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০৮
ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ড. মইনুল খান। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাণিজ্য মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা নির্বাচিত হয়েছে ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর রয়েছে স্কয়ার ইলেকট্রনিকস ও সারাহ লাইফ স্টাইল লিমিটেড। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৩৭.৩৬ লাখ, ৩৪.৭৭ লাখ ও ৩২.০৫ লাখ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছে।’
মেলার অন্যান্য যারা সম্মাননা পাবে তারা হচ্ছে- র্যাঙ্গস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, হাতিল কম্প্লেক্স লিমিটেড, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফিট এলিগেন্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং বঙ্গ বেকারস লিমিটেড।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট চলতি মাসে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীদের এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতেই প্রতি বছর বাণিজ্য মেলায় সংগৃহীত সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
মইনুল খান আরও বলেন, ‘মেলায় সর্বমোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মেলায় অধিকাংশ পণ্যে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। গতবছর মেলায় এই ভ্যাট আহরণ হয়েছিল ৭ কোটি ২ লাখ টাকা। এবারের মেলা স্টলের সংখ্যা ও দর্শনীর্থীদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের নজরদারি সত্ত্বেও ভ্যাট আহরণ কিছুটা কম হয়েছে। মেলায় এবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট থেকে আটটি টিম নজরদারি করে। নতুন ভ্যাট আইনের পরিপালন নিশ্চিত করতে ও যথাযথ ভ্যাট আহরণ করতে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়। এতে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।’
এদিকে এ বছর মেলায় স্টলের সংখ্যা ছিল ৪৮৭টি, যা আগের বছর ছিল ৫৬৯টি। অন্যদিকে চলতি বছরের দর্শনার্থীর সংখ্যা ২৩ লাখ। অন্যদিকে আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ। এছাড়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি বছরের মেলায় কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কেবল ৫ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দেয়। এতে কেবল হাতিল ফার্নিচার থেকেই প্রায় ৭৮ লাখ টাকা কম আহরণ হয়েছে। গত বছর ভ্যাটের এই হার ছিল ১৫ শতাংশ।
এরপর বিভিন্ন কারণে সাপ্তাহিক ছুটিতে ৩ দিন (১০ জানুয়ারি, ৩১ জানুয়ারি, ও ১ ফেব্রুয়ারি) পূর্ণ দিবস বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ৭ জানুয়ারি, ৯ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি মেলা অর্ধদিবস বন্ধ ছিল। পরে ৫ দিন মেলার মেয়াদ বাড়লেও তাতে কোনো শুক্র-শনিবার ছিল না এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম ছিল।