Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পোষ্য কোটায় পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির দাবি ইবি কর্মকর্তাদের


১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৪৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইবি: ন্যূনতম আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই পরীক্ষা ছাড়াই পোষ্য কোটায় ভর্তির ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১৬ দফা দাবিতে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তারা।

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা (গ্রেড-৪), সহকারী রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা (গ্রেড-৬), অফিস সময়সূচি পূর্বের মতো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬২ বছর বহাল রাখা।

বিজ্ঞাপন

নিয়োগ, পদোন্নতিসহ অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে উপাচার্য পিএস রেজাউল করিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মো. নওয়াব আলী খানকে পদ থেকে অপসারণ করা এবং এস্টেট অফিসের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশসহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম জোহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম-সম্পাদক মো. রাশিদুজ্জামান খান টুটুল, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল লতিফ, নির্বাহী সদস্য মো. গোলাম হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও মো. উকিল উদ্দিন।

অন্যদিকে, কর্মকর্তাদের একাংশ অফিসিয়াল কার্যক্রম সচল রেখেছেন বলেও জানা যায়।

আগামী বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি চলবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি চলবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে কর্মকর্তা সমিতি সূত্রে জানা যায়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মীর মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কর্মবিরতির বিষয়টিকে আমি ভালো চোখে দেখছি না কারণ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আমরা কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করিনি, অফিসের নিয়মিত রুটিনের কাজ চালিয়ে গেছি।’

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বেতন স্কেলের বিষয়টি নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে আংশিক অনুমোদন হয়েছে, যাদের মাস্টার্স ডিগ্রি আছে তারা পাবে। চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরের বিষয়টি চ্যান্সেলর এর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ন্যায়সঙ্গত দাবি অতীতেও মানা হয়েছে ভবিষ্যতেও মানা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ৩ দফা দাবিতে মৌনমিছিল করেছিলেন কর্মকর্তারা এবং ২০১৯ সালের ৩ মার্চ ৩ দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান এবং ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তারা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পোষ্য কোটা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর