Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধূমপান থেকে হৃদরোগ-ক্যানসার, বছরে মৃত্যু ১ লাখ ৬১ হাজার


১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:৪৫

ঢাকা: ধূমপান বা তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ বা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। এছাড়া অসংক্রামক রোগ ধূমপায়ী বা তামাক ব্যবহারকারীদের মৃত্যুর কারণ বা সারাজীবনের সঙ্গী হয়, যা পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে এবং দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা ফল প্রকাশ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি), বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসিআরএন) এবং জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের (জেএইচএসপিএইচ) ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল টোব্যাকো কন্ট্রোল, বাল্টিমোর, ইউএসএ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও বিটিসআরএনের উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক ড. ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালেক। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ।

দিনব্যাপী এই সম্মেলনে উপস্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে গবেষণা করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-গবেষক, বাকি চার বিষয়ে গবেষণা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অভিজ্ঞ গবেষকরা। নির্বাচিত গবেষণার ফলাফল ১০টি পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

সম্মেলনে যেসব বিষয়ে গবেষণার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়, সেগুলো হলো— বাংলাদেশে তামাক সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধকরণ এবং এই নীতি বাস্তবায়নে বাধাসমূহ; বহুতল আবাসন প্রকল্পে ধূমপানবিহীন আবাসন নীতি; তামাক শিল্পের ব্র্যান্ডিং কৌশল ও তরুণদের ওপর এর প্রভাব; বাংলাদেশে তামাক ইন্ডাস্ট্রির বিপণন কৌশল পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ; পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ এবং এ সংক্রান্ত একটি কেস স্টাডি; এবং বাংলাদেশে নতুন নতুন প্রচার মাধ্যমে তামাক সম্পর্কিত বিষয় প্রচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর এর প্রভাব।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে ড. আবুল কালাম আজাদ তামাক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সন্তোষজনক অবস্থায় কমিয়ে আনার ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও গবেষকদের ধূমপায়ী এবং তামাকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা তামাক বা তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নানা কৌশল নিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি তামাক বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের আরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. সানিয়া তাহমিনা, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিডার (আইভিডি) ড. রাজেন্দ্র বোহরা, ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল টোব্যাকো কন্ট্রোল, ইউএসএ’র পরিচালক ড. জয়েনা কোহেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিসিপি’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) ডা. জিনাত সুলতানা।

পরে বিটিসিআরএনের সভাপতি ড. নওজিয়া ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিএইচ অ্যান্ড ডব্লুএইচ) রিনা পারভীন।

তামাক তামাকজাত পণ্য বিটিসিআরএন বিসিসিপি

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর