Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খালেদার বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে, ডান হাত বেঁকে যাচ্ছে’


১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:২৪

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে এবং ডান হাতও বেঁকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে, ডান হাত বেঁকে যাচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও এই মুহূর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত। তা না হলে ওনার (খালেদা জিয়া) যে কী হবে— সেটা বলা যাচ্ছে না।’

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- খালেদার সঙ্গে দেখা করতে বিএসএমএমইউ’তে স্বজনরা

সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। ওনার শরীর এতই খারাপ যে এই মুহূর্তে যদি ওনাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে ওনার যে কী হবে— সেটা বলতে পারছি না। আমাদের একটা আবেদন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

‘খালেদা জিয়ার বিছানা থেকে বাথরুমের দূরত্ব দুই-তিন হাত জায়গা হবে। এটুকু পথ যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে, তাতে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আজকেও ফাস্টিং সুগার ১৪-১৫ ছিল,’— বলেন সেলিমা ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা, সেটা বিবেচনা করে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে মুক্তি দাবি করছি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না। হাঁটতেও পারেন না। একটু হাঁটলে আবার তাকে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘আজ দুই বছর হলো খালেদা জিয়া কারান্তরীণ। যখন তিনি কারাগারে গেছেন, তখন তার শারীরিক যে অবস্থা ছিল এখন সে অবস্থা নেই। সে হেঁটে-চলে বেড়াত। এখন সে পাঁচ মিনিটও দাঁড়াতে পারে না। আজ তার শরীর খুবই খারাপ। সে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। একদম কথাই বলতে পারছে না। সে উঠে ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারছেন না। বাঁ হাত সম্পূর্ণভাবে বেঁকে গেছে। এখন ডান হাতটা বেঁকে যাচ্ছে। খেতে পারছেন না। খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। গায়ে জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যাথা। গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। হাত দিলেই চিৎকার করে ওঠে। এই অবস্থায় মানবিক দিক চিন্তা করে হলেও ওনার মুক্তি দেওয়া উচিত।’

এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার বোন বলেন, ‘তার মুক্তির জন্য আমরা এখনো আবেদন করিনি। আমরা জাতির কাছে আবেদন করছি, জনতার কাছে আবেদন করছি, বাংলাদেশের মানুষ যেন ওনার জন্য দোয়া করে।’

এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ’তে প্রবেশ করেন তার পরিবারের পাঁচ সদস্য। প্রায় দেড় ঘণ্টা খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন তারা।

স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান  কোকোর শাশুড়ি মোকরেমা, ভাগ্নি শাহিনা জামান খান, ভাতিজা অভিক ইস্কান্দার, ভাবি মিসেস কানিজ ফাতেমা ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী।

খালেদা জিয়া খালেদা জিয়ার বোন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ বিএসএমএমইউ সেলিমা রহমান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর