চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য লোপাট চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:০৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে সক্রিয় একটি অপরাধী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এই চক্রের সদস্যরা কাভার্ডভ্যানে করে বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে কারখানার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু কারখানায় না নিয়ে সেগুলো আত্মসাত করে বিক্রি করে দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুইদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী, ঢাকা, কক্সবাজার ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. জাহেদুল ইসলাম।
তাদের কাছ থেকে আত্মসাত করে বিক্রি করে দেওয়া প্রায় ৩০ লাখ টাকার ১ হাজার ৯৮০টি পলিস্টার সুতার ববিন ও ৩৩০টি কাগজের খালি কার্টন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার ৮ জন হলো- কাভার্ডভ্যান চালক মামুন মিয়া (২৬) এবং চক্রের সদস্য আমজাদ হোসেন (২১), আবছার উদ্দিন রাব্বি (১৯), নাজমুল হক(৩৪), মো. ইলিয়াস (৪০), আফজাল হোসেন (২৬), কবির হোসেন (৩০) ও হোসাইন আল মাকসুদ সনেট (৩৬)।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাটের মাস্টার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি গত ৪ ফেব্রুয়ারি জনৈক আলমগীরের মাধ্যমে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কবির কার্গো সার্ভিস থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ভাড়া করে। ওই কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের লেবার কলোনি ডিপো থেকে পলিস্টার সুতা পাঠানো হয় গাজীপুরের জয়দেবপুরে ‘পলিব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কারখানায়। কিন্তু কাভার্ড ভ্যানটি যথাসময়ে কারখানায় না পৌঁছায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি মাস্টার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সহকারী ব্যবস্থাপক হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মুহাম্মদ রুহুল আমীন সারাবাংলাকে জানান, মামলার ভিত্তিতে প্রথমে চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করা হয়। এরপর নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আত্মসাত করা মালামাল ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।
রুহুল আমীন বলেন, ‘গ্রেফতার আটজন একই চক্রের সদস্য। তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালামাল টার্গেট করে। সুকৌশলে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের কথা বলে মালিক সেজে ফোন করে পরিবহন কোম্পানিতে। গাড়ি ভাড়া করে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। সেই মালামাল পরে আত্মসাত করে বিক্রি করে দেয় ঢাকা-নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন পার্টির কাছে।’