ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে পারবে না: হাইকোর্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:২০
ঢাকা: ফিটনেস নবায়ন না করা (ফিটনেস খেলাপি) গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। ফিটনেস বিহীন গাড়ি কিভাবে চলছে তা বিআরটিএ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করলে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে সারা দেশে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ী তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আদালতে বিআরটিএ-এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এ বিষয়ে আইনজীবী রাফিউল ইসলাম বলেন, আদালত বলেছেন-ফিটনেস নবায়ন না করা কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। এখনো ফিটনেস বিহীন গাড়ি কিভাবে চলছে তা বিআরটিএ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারির) মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ি ফিটনেস খেলাপি ছিলো। ওইদিন আদালত আদেশ দিয়েছেন-ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে। এ আদেশ অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে। এবং ফিটনেস খেলাপি গাড়ীকে জালানি দিচ্ছে না। এসবের সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দেখিয়েছি।
এর আগে গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।
গত ২৪ জুন আদালত ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। সে অনুসারে, হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দেয় বিআরটিএ।
গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান আদালত। পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চান আদালত।